স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশ্বাস করেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অস্তিত্ব হারানোর ঝুঁকি নেবেন না। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া আসবেন। কারণ নির্বাচনে আসার জন্য তাদের নিজেদের দলে নিজেরাই চাপের সম্মুখীন আছেন। নির্বাচনে না আসলে বিএনপির পরিণতি মুসলিম লীগের চেয়ে খারাপ হবে। এ ধরনের অস্তিত্ব হারানোর ঝুঁকি বেগম জিয়া নেবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরির্দশনে গিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সময়ে সহায়ক সরকার বিএনপির দাবির ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানে সহায়ক সরকার বলে কোনো বিধান নেই। দুনিয়ার কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সহায়ক সরকার বলে নির্বাচনকালীন কোনো সরকার নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন বেগম জিয়া এ দাবি করছেন। তিনি কি সহায়ক সরকার করেছিলেন? এখন এসব কথা বলে কোনো লাভ নেই।
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাজেট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজেট উপস্থাপন মানেই বাজেট পাস নয়। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে বাজেট নিয়ে যে বির্তক হচ্ছে এই বির্তক গণতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। এই বির্তকই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। বির্তক না থাকলে কোনো দিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায় না। আমি বিশ্বাস করি আগামী ২৯ জুন সংসদে যে সংশোধিত বাজেট পাস হবে সে বাজেট সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। জনগণ খুশি হবে এবং বিএনপির মুখ বন্ধ হবে। কারণ প্রধামনন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেটের সকল স্টেক হোল্ডার নিয়ে বসেছেন, আলাপ আলোচনা করেছেন। বাজেটের কিছু কিছু অংশে আমাদের সংসদ সদস্যরা বিরোধীতা করেছেন।
মহাসড়ক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক অনেক ভাল আছে। জেলা সড়কও পাসেবল আছে। খুব বড় ধরনের দুযোগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে এ বছর ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। জনগণের ভোগান্তি সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রকৌশলীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যেখানে রাস্তায় ত্রæটি দেখা যাচ্ছে সেখানেই মেরামত করা হচ্ছে। যেখানে পানি জমে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনো প্রকার অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না।
মেঘনা, গোমতি সেতুর টোল প্লাজায় স্কেল লোডিং দুর্নীতি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, টোল প্লাজায় অনিয়মের অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। আমি নিজে দুই দিন টোল প্লাজায় গিয়ে অনিয়ম পেয়েছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত তদারকি করছেন। আমি নিজেও তদারকি করছি। যদি কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে কোম্পানির কার্যক্রম বাতিল করে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।
ওবায়দুল কাদের সঙ্গে এ সময় ছিলেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের, সড়ক ও জনপথ নারায়ণগঞ্জ অফিসের অলিউর রহমানসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন