রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
রূপগঞ্জে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পৃথক স্থানে দুই গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার হাটাব ও মঙ্গলখালী এলাকায় ঘটে গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনা। নির্যাতিত গৃহবধূ সুমাইয়া বেগম জানান, হাটাব এলাকার সাহিদ আলমের মেয়ে তিনি। গত একবছর আগে একই এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে সুবজ মিয়ার সঙ্গে সুমাইয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়েতে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করেন। বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী সবুজ মিয়া, শ্বশুর আহাম্মদ আলী, দেবর সজল, সজীব ননদ মলিসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন আবারোও যৌতুকের ৫ লাখ টাকা দাবি করে আসছে। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পাড়ায় প্রায় সময়ই শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালানো হতো। শুক্রবার সকালে তারা গৃহবধূ সুমাইয়া বেগমকে লাঠিপেটা করে মাটিতে পুতে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অপর গৃহবধূ মাহমুদা বেগম জানান, বরগুনা জেলার বেতাগি থানার চান্দুখালী এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে তিনি। গত এক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা এলাকার মৃত জজ মিয়ার ছেলে আলম মিয়ার সঙ্গে মাহমুদা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তারা স্বামী-স্ত্রী উপজেলার মঙ্গলখালী এলাকায় বসবাস করে আসছেন। কিছু দিন পূর্বে মাহমুদা বেগম জানতে পারেন স্বামী আলম মিয়া এর আগে আরো একটি বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানার পর থেকে মাহমুদা বেগমকে ভরণ-পোষণ দেয়া বন্ধ করে দেন স্বামী আলম মিয়া। সকালে ভরণ-পোষণ ও বাজার সদাই করার টাকা চাওয়ায় আলম মিয়া লাঠি দিয়ে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন