মোবায়েদুর রহমান : মনে হচ্ছে ঝড় থেমে গেল। তবে এই ঝড়টি যত তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে রাজনৈতিক প-িতরা আশঙ্কা করেছিলেন ততখানি তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দুটি মন্তব্য নিয়ে বিএনপি ঠিকই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। কিন্তু সেগুলো ঐ সংবাদ সম্মেলন আর সেমিনারে বক্তৃতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। যত দূর মনে পড়ছে, জাস্টিস সিনহার ঐ মন্তব্য নিয়ে বিএনপির তরফ থেকে যাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তারা হলেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন এবং যুগ্ম মহাসচিব ও দফতর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী। বেগম খালেদা জিয়া এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। কেন করেননি, সেটির কারণ বিএনপির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়নি। আবার পত্র পত্রিকাও এক্সক্লুসিভ স্টোরির নামে জল্পনা-কল্পনার ফানুহ ওড়ায়নি। আরেকটি বিষয় এবার আমাকে স্ট্রাইক করেছে। দেখলাম, প্রধান বিচারপতির এমন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যকে নিয়ে ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার একটি অংশ কোন ইনটারেস্ট দেখায়নি। এমনটি হতে পারে যে, জাস্টিস সিনহার বক্তব্য সরকারের প্রতিকূলে চলে যায়। তবে তারপরেও সরকারি দলের কয়েকজন নেতা খুব চতুরতার সাথে এ বিষয়টি সম্পর্কে মত দিয়েছেন।
এই বক্তব্যের দুইটি দিক আছে। একটি হলো, তার কথা শতকরা একশত ভাগ সত্য। অবসরের পরে রায় লেখা সত্যিই অবৈধ। আবার সরকারি দলের বক্তব্য মোতাবেক অবসরে রায় লেখা যদি অবৈধ ঘোষিত হয় তাহলে অসংখ্য রায় অকার্যকর এবং বাতিল হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ের কথা বেশি করে বলা হচ্ছে। কারণ এই রায়টি লেখা হয়েছে জাস্টিস খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার ১৭ মাস পর। তার মানে হলো এই যে, খায়রুল হক রিটায়ারমেন্টে গেলেও সুপ্রিমকোর্টের রেকর্ড পত্র এবং ডকুমেন্ট তার কাছেই ছিল। এটি চরম অন্যায় এবং অনিয়ম। জাস্টিস সিনহা যা বলেছেন তার মর্মার্থ এটাই দাঁড়ায়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের নথি সরকারি দলিল (পাবলিক ডকুমেন্ট)। একজন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর আদালতের নথি নিজের নিকট সংরক্ষণ, পর্যালোচনা বা রায় প্রস্তুত করা এবং তাতে দস্তখত করার অধিকার হারান। আশা করি, বিচারকগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকবেন। এই প্রসঙ্গে তিনি একটি ভালো উদাহরণ টানেন। আমাদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ আছেন, যারা সরকারি-বেসরকারি বা আধাসরকারি চাকরি করেন। এরা যখন রিটায়ার করেন তখন কি তারা তাদের অফিসের কোনো নথিপত্র বা ডকুমেন্ট বাসায় আনতে পারেন? পারেন না। শুধু তাই নয়, একজন সচিব রিটায়ার করলেও তিনি তার বিভাগের নথিপত্র বা ডকুমেন্ট পরের দিন বাসায় আনতে পারেন না। আমরা তো ভূরি ভূরি নজির দেখছি। যেখানে কোনো একজন অফিসার অবসরে গেলে তাকে ধূমধাম করে ফেয়ার ওয়েল দেয়া হয়। সেখানে তার অনেক গুণ কীর্তন করা হয়। ফেয়ারওয়েলের পর ঐ একই অফিসে তিনি যদি বেড়াতে আসেন বা কোনো কাজে আসেন তাহলে তাকেও সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাছে ধরণা দিতে হয়। এটি একটি কমন সিনারিও যে, একজন অফিসার রিটায়ারমেন্টে গেলে তার পেনশন তোলার জন্য দিনের পর দিন তাকে সে অফিসের এমন সব অফিসারদের কাছে ধরণা দিতে হয় যারা তার চেয়ে অনেক নিচের র্যাংকে ছিলেন। কিন্তু কোন অবস্থাতেই তিনি কোন ফাইল বা ডকুমেন্ট তার বাসায় নিয়ে যেতে পারেন না। কিন্তু জনাব খায়রুল হক সুপ্রিমকোর্টের অনেক নথিপত্র এবং ডকুমেন্ট এক মাস দুই মাস নয়, ১৭ মাস তার বাসায় রেখেছিলেন। নির্বাহী বিভাগের অফিসাররা যদি অবসরের পর নথিপত্র বাসায় নিয়ে যেতে না পারেন তাহলে বিচার বিভাগের বিচারপতিরা সেগুলো বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন কেন? একই গাছে দুই রকম ফল ফলবে কেন? তবে খায়রুল হক সাহেবদের এই ধরনের কাজ দেখে সম্ভবত কবি বা ছড়াকাররা লিখেছেন,
কিবা গাছের গুণ
একই গাছে পান সুপারি
একই গাছে চুন
॥ দুই ॥
আমি দেখছি যে, প্রায় প্রত্যেক কলামিস্ট বা রাজনৈতিক নেতার লেখনীতে বা বক্তব্যে জনাব খায়রুল হক এসে যাচ্ছেন। কেন এসে যাচ্ছেন? কারণ তার নেতৃত্বে এমন রাজনৈতিক বিষয়ে রায় দেয়া হয়েছে যে রায়ের বিষময় প্রতিক্রিয়ায় এদেশে গভীর রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। সেই রাজনৈতিক সঙ্কট এমন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে যে, সেটিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক আন্দোলনে ২শ’/৩শ’ লোক নিহত হন। এতবড় একটি রায় তিনি দিলেন, অথচ সেখানেও তিনি সর্বসম্মত রায় দিতে পারলেন না। তখন সুপ্রিমকোর্টের একই বিভাগে ছিলেন ৭ জন বিচারপতি। অথচ তিনি মাত্র ৪ জন বিচারপতির রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেন। রায় বাতিলে যারা তার সাথে ছিলেন, তারা হলেন বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন (পরবর্তী প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (বর্তমান বিচারপতি) এবং বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরোধিতা করে তত্ত্বাবধায়ক রাখার পক্ষে লিখিত রায় দিয়েছেন, তারা হলেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া এবং বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। ১৫০ পৃষ্ঠার একটি রায় লিখে বিচারপতি মো. ইমান আলী বলেছেন যে, বিচারপতিরা এ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিষয়টি জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিক। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের পক্ষে খায়রুল হক সাহেবরা ছিলেন ৪ জন আর বিপক্ষে ছিলেন ৩ জন। মাত্র ১ জনের মেজরিটি নিয়ে এত বড় একটি সিদ্ধান্ত তিনি জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন, যার ভয়াবহ ফলাফল থেকে আজও জাতি মুক্তি পায়নি। কি এমন ক্ষতি হতো যদি তিনি মাত্র ১ জনের মেজরিটি নিয়ে ঐ রায় ঘোষণা না করে বিষয়টি জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিতেন, অথবা রাজনৈতিক ফয়সালার জন্য ছেড়ে দিতেন?
অবসরে যাওয়ার ১৭ মাস পরে তো দূরের কথা ১ মাস পরেও রায় লেখা যায় না বা লিখিত রায়ে ১ মাস পর সই দেয়া যায় না। ১ বা ১৭ মাস পর খায়রুল হক সাহেবরা কি আর বিচারপতি থাকেন? থাকেন না। বিচারপতি না থাকলে বিচারপতি হিসাবে তিনি বা তারা সই করছেন কিভাবে? একজন সচিব যেদিন অবসরে যান তার ১ মাস বা ১৭ মাস পরে তার কাছে কি কোন সরকারি ফাইল পাঠানো যায়? আর পাঠালেই কি তিনি তার মতামত বা সিদ্ধান্ত দিয়ে দস্তখত করতে পারেন? দস্তখত করলে কোন তারিখ উল্লেখ করে সই করবেন? পেছনের তারিখ? সেটি তো সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং বেআইনী। আর ১৭ মাস পরের তারিখ? সেটিই বা কিভাবে সম্ভব? সেদিন তো তিনি সরকারি অফিসার নন। তাহলে খায়রুল হক সাহেবই বা ১৭ মাস পরে সই করেন কিভাবে? এগুলো অত্যন্ত গুরুতর প্রশ্ন। যারা বলছেন যে, সংবিধানে তো লেখা নেই যে, অবসরে গেলে আর রায় লেখা যাবে না। এরা সবকিছু জেনে শুনেও এমন কথা বলছেন। হয়তো এর বাইরে তাদের পক্ষে আর কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই এগুলো বলছেন। সংবিধানে কি সব কথা লেখা আছে? নাকি আসমান আর জমিনের মাঝে যতকিছু আছে তার সব কিছু সম্পর্কে সংবিধানে লিখে রাখা সম্ভব? লিখে রাখা সম্ভব নয় বলেই সংবিধান ব্যাখ্যার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সুপ্রিমকোর্টকে। সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা এই দাঁড়ায় যে, যেসব বিষয়ে সংবিধানে কিছু লেখা নেই অথবা যেসব বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ অস্পষ্ট এবং ধোঁয়াশে সেখানে সুপ্রিমকোর্ট যে ব্যাখ্যা দেবে সে ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তবে অবসরে যাওয়ার পরে যে রায় লেখা যায় না সে সম্পর্কে ভারত এবং পাকিস্তানের দুইটি নজির পথ নির্দেশক হয়ে থাকবে।
॥ তিন ॥
একটি উদাহরণ প্রধান বিচারপতি সিনহা নিজেই দিয়েছেন। সেটি ভারতের উদাহরণ। এই প্রসঙ্গে ভারতের একটি বিখ্যাত রায়ের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন সেই (ভারতের) মামলায় ১৩ জন বিচারপতি দিয়ে কন্সটিটিউশনাল বেঞ্চ হয় সুপ্রিমকোর্টে। প্রায় ছয় মাস এক নাগারে চলে মামলা। এই মামলার রায় কয়েক হাজার পাতার। ১৩ জন বিচারপতি যে দিন রায় দেন ঠিক তার পর দিন প্রধান বিচারপতি সিক্রি রিটায়ার করেন। আরও ২ জন বিচারক মারা যান। রিটায়ারমেন্টে যাওয়ার কারণে প্রধান বিচারপতি স্বাক্ষর করতে রাজি হননি রায়ে। রিটায়ারমেন্টের পর প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি সাধারণ নাগরিক। সেই রায়ে ১৩ জন বিচারকের মধ্যে নয়জনের স্বাক্ষর ছিল। এটি একটি ইতিহাস। সারা বিশ্ব এই রায়কে ফলো করে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ আর কর্নেলিয়াস একটি ঐতিহাসিক রায়ে বলেছেন যে, অবসরের পর রায় লেখা যায় না। ১৯৬৪ সালে তিনি এই রায় দেন। কাজী মেহের দীন বনাম মিসেস মুরাদ বেগম মামলায় পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে রায় দেন যে, অবসরে গিয়ে রায় লেখা যাবে না। প্রবীণ আইনজীবী টিএইচ খান ইতিপূর্বে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ১৬ ডিএলআর, ৩৯২ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ওই রায়ের বরাতে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের অবসর জীবনে দেয়া রায়কে যথাযথ নয় হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
॥ চার ॥
‘বিচারপতিদের অবসরের পর রায় লেখা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী’ বলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্যের পর ঐতিহাসিক অনেক মামলার রায় সাংবিধানকি সঙ্কটের মুখে পড়েছে। এসব মামলা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কয়েক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের রায়ে স্বাক্ষর করতে না দিতে প্রধান বিচারপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে সংবিধানের ১৫তম, ১৩তম, পঞ্চম, সপ্তম সংশোধনীর মামলার রায়, জেল হত্যা মামলার রায়, মাজদার হোসেনের মামলার রায়সহ অনেক সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় প্রশ্নবিদ্ধ হবে। কারণ এসব মামলার রায় বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পরে লিখেছেন। ফলে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের কারণে এসব রায় প্রশ্নবিদ্ধ হলে দেশে চরম সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি হবে।
এই ধরনের আশঙ্কা অমূলক নয়। কিন্তু তাই বলে কঠিন এবং নিরেট সত্যকে আমরা আর কতদিন কুয়াশার আবরণে ঢেকে রাখব? রাজনীতি এবং আইনকে গুলিয়ে ফেললেই যত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আমি অতীতে ইনকিলাবে অসংখ্য লেখায় লিখেছি যে, রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাক। আর আইনের জায়গায় বিচার থাক। কিন্তু সেটি করা হয়নি। দলীয় রাজনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গিকে সমুন্নত রাখার সংকীর্ণ উদ্দেশ্যে জনাব খায়রুল হক বেশ কয়েকটি জাজমেন্ট দিয়েছেন। একটি জাজমেন্টে তিনি ৩টি সরকারকে অবৈধ ও দখলদার ঘোষণা করেছেন। অন্য একটি জাজমেন্টে আরেকটি বেঞ্চ অপর একটি সরকারকে অবৈধ ও দখলদার ঘোষণা করেছেন। তবে ঐ ধরনের বিষয়কে এর আগের অন্তত ৩ জন প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিক ও আইনগত Validity বা বৈধতা দিয়ে গেছেন। যদি প্রয়োজন হয় এবং হাতে সময় পাই তাহলে এ সম্পর্কে একাধিক ভাষ্য রচনা করা যেতে পারে।
বিচারপতি সিনহা যা বলেছেন সেটি কিন্তু মন্তব্য, উচ্চ আদালতের কোনো রায় নয়। তার বক্তব্যকে কার্যে পরিণত করতে হলে তার বক্তব্যকে রায় বা ভার্ডিক্টে পরিণত করতে হবে। আর সেটি করতে গেলে দেশের কোনো বৈধ নাগরিককে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করতে হবে। একটি বাংলা দৈনিকের সাথে কথা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইউসুফ হোসাইন হুমায়ুন বলেছেন যে, প্রধান বিচারপতির মন্তব্যকে ভিত্তি করে কেউ যদি রিট পিটিশন করে তাহলে গুরুতর সাংবিধানিক এবং আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হবে। তবে কথায় বলে, যত মুশকিল, তত আসান। খায়রুল হক সাহেবও তো ৩ সরকারকে নাড়িয়ে দিয়ে ২০০৫ সালে একটি রায় দিয়েছিলেন। তার ফলে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল সেটি- Doctrine of necessasity দিয়ে ফয়সালা করা হয়েছে। আলোচ্য ক্ষেত্রে যদি কোনো জটিলতার সৃষ্টি হয় সেটিও Doctrine of necessasityদিয়ে ফয়সালা করা যাবে।
e-mail: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন