মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ৫৬নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী ফাতিমা (০৯)। স্কুলের অন্যান্য শিশুদের মত বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যেত ফাতিমা। সহপাঠি শিশুদের সাথে হেসে খেলে পার করার সময় মরন ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার বাসা বাঁধতে থাকে ফাতিমার শরীরে। গত পাাঁচ মাস পূর্বে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়লে একে একে নিভে যায় ফাতিমার মনের সব আলো। স্কুলের পরিবর্তে হাসপাতালের বেডে কাটছে ফাতিমার দিন।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ফাতিমা অসুস্থ্য হয়ে পরে ফাতিমা। স্থানীয় আনেক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, ফাতিমা দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। বর্তমানে খুলনা কিওর হোম জেনারেল হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুকিতুল হুদার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে ফাতিমার। ইতোমধ্যে তিনটি কেমো দেয়া হয়েছে তাকে। চিকিৎসকরা বলছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য ফাতিমার বন মেরুতে অস্ত্রপাচার করতে ৩৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে।
পৌর শহরের আরামবাগের নিবাসী ও ফল ব্যাবসায়ি হাবিবুর রহমান বাবুলের মেয়ে ফাতিমা। সন্তানের চিকিৎসার জন্য শেষ সম্বল ৫ কাঠা জমি বিক্রি করে বাবুল এখন সর্বস্বান্ত। এমতাবস্তায় অসহায় পিতা বাবুল মিয়া সন্তানের চিকিৎসার জন্য সকল বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের আন্তরিক সাহায্য কামনা করছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা
হিসাব নম্বর-১২২-২৪৬৯ উত্তরা ব্যাংক মঠবাড়িয়া শাখা।
মোবাইল: ০১৭৩১৪৪২৮৬২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন