শেরপুরের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া উপজেলা ঝিনাইগাতী। যেখানে সিংহ ভাগ মানুষের বসবাস দারিদ্র্যসীমার নিচে। সেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে চলতে পারছে না সিংহ ভাগ হতদরিদ্র মানুষ। ফলে এই উপজেলার বেশির ভাগ শিশুই গড়ে উঠছে অযত্ম-অবহেলায়। এখানকার শিশুরা দারিদ্র্য, অপুষ্টি ও মৌলিক অধিকার বঞ্চিত।
অনেক শিশু স্কুলের ধারেকাছেও যায় না। তবে কাগজে পত্রে শতভাগ না হলেও বেশির ভাগ শিশুকে স্কুলে পড়ালেখা করছে দেখানো হয় বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন। পাশাপাশি গারো পাহাড়ি এলাকা হওয়ায়, এই এলাকার প্রতি বলতে গেলে সবারই রয়েছে মুটামুটি অবহেলা। যা অলিখিত ও অপ্রকাশ্য। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যতীত এখানে তাই আজো নেই কোনো সরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা। অর্থাৎ উপজেলা হিসেবেও ঝিনাইগাতী যে অবহেলিত তার বড় প্রমাণ এটি। ফলে নামে মাত্র চলছে এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা। উপজাতীয় এলাকা হওয়ায় এখানে অন্যান্য যে কোনো উপজেলার চেয়ে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান ও একেবারেই নিম্নমুখী। ফলে স্বাস্থ্যসেবার অবস্থাও বলতে গেলে খুবই করুণ। এখানকার বেশির ভাগ শিশু রোগা ও অপুষ্টির শিকার। এখানকার শিশুদের এক বিরাট অংশ পাহাড়ে লাকড়ি কুড়ানো, গরু বা মহিষ চড়ান, গোবর সংগ্রহ, করে জীবন যাপন করে। আর একটু বড় হলেই অর্থাৎ কৈশোরে পা দিতেই চলে যায় গার্মেন্টস অথবা সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে অথবা কোনো না কোনো দোকানে চাকরির খোঁজে।
মোটকথা, পড়ালেখা জোটে না কপালে। এভাবেই বেড়ে উঠছে ঝিনাইগাতীর শিশুরা। আর চলছে জীবন-জীবিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন