শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

অসময়ের ফসল কালিবোরো কাটার ধুমকম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় চাষে আগ্রহ বাড়ছে কাজিপুর চরাঞ্চলের কৃষকের

প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
স্বল্প খরচ, বিনা চাষে উৎপাদিত, উৎকৃষ্টমানের সুস্বাদু চাল ও অসময়ের ফসল সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চরাঞ্চলের কালিবোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে। সুস্বাদুু ও উৎকৃষ্টমানের হওয়ায় এলাকাসহ দেশব্যাপী এই চালের ব্যাপক কদর রয়েছে। স্থানীয়ভাবে কালিবোরো নামে পরিচিত হলেও পরিপক্ক অবস্থায় কালো এবং বাদামি দু’ধরনের জাতের ধানের শীষ শোভা পায়। নদীর পানি কমে গেলে পৌষ মাসের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নদীর কোল, খাড়ি, অথবা জেগে ওঠা পলি অধ্যুষিত চরে এই ধান রোপণ করতে হয়। কালিবোরো ধানের একাধিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বিনা চাষ ও বিনা সারে রোপণ, ও অত্যান্ত দুঃসময়ে ধান ঘরে ওঠায় এই ধান চাষে চরাঞ্চলবাসীদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণীত করেছে। এছাড়া সামান্য কিছু ইউরিয়া সার ছাড়া কোনো প্রকার কীটনাশক, নিড়ানি, বা অন্য কোনো প্রকার পরিচর্যা করতে হয় না বলে এই ধানের উৎপাদন খরচ খুবই কম। এই ধানের চাল খুব সরু ভাত খুব সুস্বাদু এবং ধান উৎপাদনে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার হয় না বলে স্থানীয়ভাবে এই চালের কদর খুব বেশি হয়ে থাকে। ফলে অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে বাজারে এই ধানের বিক্রয়মূল্য বেশি থাকে। এত সব গুণাগুণবিশিষ্ট ধান হওয়া সত্ত্বেও নদীর ভাঙন ও আগাম বন্যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে থোর ধান তলিয়ে গিয়ে কৃষকদের সর্বশান্ত করে ছাড়ে। কাজিপুরের নাটুয়ার পাড়ার চাষি নুরুল ইসলাম জানান, গত দুই বছর নদীর পানি বিলম্বে^ আসায় আমরা শতভাগ ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরও জানান, আবহাওয় অনুকূল থাকলে এবং ভালো ফসল জন্মালে বিঘা প্রতি অর্থাৎ ০.৩৩ শতাংশে ১৮/২০ মণ ধান হয়ে থাকে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, কালিবোরো ধান সরকারিভাবে অনুমোদিত কোনো ধান না হলেও নানাবিদ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হওয়ায় ক্রমান্বয়ে এই ধান চাষে চরের চাষিরা আগ্রহী হয়ে পড়ছে। চলতি মৌসুমে কাজিপুরে সাড়ে ৪শ’ হেক্টর জমিতে কালিবোরো চাষ হয়েছে যা গতবারের চেয়ে অনেক বেশি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন