গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
রংপুরের সদরের খলেয়া, মমিনপুর হরিদেবপুর ও গংগাচড়ার বেতগাড়ি বড়বিলসহ অন্যান্য ইউনিয়নে ক্ষুদ্র বর্গাসহ প্রান্তিক কৃষকরা শস্য জমিতে ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করছে সোনালী আাঁশ পাট। ফলে অঞ্চলজুড়ে চাষাবাদী জমিতে বিরাজ করছে সোনালী পাটের সমারোহ। জানা গেছে, সোনালী আঁশ পাটের আবারো সুদিন ফিরে এসেছে। অথচ পাট অর্থকরী ফসল হিসেবে একটা সময়ে রংপুর সদর ও গংগাচড়াসহ দেশের প্রান্তিক কৃষক জমিতে সোনালী আঁশ পাট চাষাবাদ করে অনেক বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করেছেন। কিন্তু কালক্রমে বিগত সরকারগুলির বিমাতা বৈষম্য আচরণে দিন দিন সোনালী আঁশ পাট কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ায় অঞ্চলে চাষাবাদ প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছিল। বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করায় পাটের আবারো ফিরে এসেছে সুদিন। ফলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে কৃষকরা নব উদ্যমে জমিতে চাষাবাদ করেছেন সোনালী আঁশ পাটের। এদিকে এ অঞ্চলের কৃষকরা জানান, এক দোন (২৫ শতাংশ) জমিতে পাট চাষাবাদ করতে খরচ পড়ে প্রায় ৫ হাজার টাকা। ফসল ভাল হলে নূন্যতম ৫/৮ মণ ফলে। গত বছর অঞ্চলের কৃষকরা হাটবাজারে ১২শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছিলেন সোনালী আাঁশ পাট। এবারো কৃষকরা আশা করছেন পাটের মূল্য গতবারের চেয়ে এবার একটু বৃদ্ধি পাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন