শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চার বছরেও শেষ হয়নি ইন্দুরকানী বাজার উন্নয়ন কাজ

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ঠিকাদারের উদাসীনতার কারণে বাজার উন্নয়নে সিসিআরপি প্রকল্পের কাজ চার বছরেও শেষ করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ইন্দুরকানী বাজারে উন্নয়নের জন্য টলসেট, ড্রেন, রাস্তা, ওপেন সেট, মাল্টিপারপাস সেটসহ, পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থার জন্য ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সরেজমিন দেখা যায়, দুটি টলসেট আংশিক কাজ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি কাজগুলো এখনো করার কোনো উদ্যোগ নেই। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।
এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী বাজার কমিটি বিভিন্ন সভায় অভিযোগ করিলেও কোনো সমাধান হয়নি। ইন্দুরকানী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ইন্দুরকানী বাজার। বাজারটিতে কয়েক শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্কুল, ব্যাংক, বীমা, এনজিওসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি বেসরকারি স্থাপনা সব এই বাজার ঘিরেই। প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। বর্ষা মৌসুমে বাজারের প্রতিটি রাস্তা কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ইন্দুরকানী বাজারে। বাজারের গা ঘেঁষে রয়েছে ইন্দুরকানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইন্দুরকানী মেহেউদ্দিন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাজারের সব ময়লা-আবর্জনা ধোয়া পানি জমে এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে। ফলে মাঠটিও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খেলাধুলার কোনো পরিবেশ নেই এই মাঠে। মাঠ দিয়েও পানি নামার কোনো পথ নেই। তাই স্কুল দুটিতে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
ইন্দুরকানী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুল কবির স্বপন জানান, বাজারে ড্রেন না থাকায় সব ময়লা পানি আমাদের স্কুলের মাঠে জমা হয়। মাঠ থেকে এই পানি নিষ্কাশনের কোনো উপায় নেই। ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী জানান, ইন্দুরকানী বাজারটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূণ। এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, সিসিআরআইপির আওতায় কাজটি করছেন ইন্দুরকানী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল সঞ্জিব সাহা। সঞ্জিব সাহাকে বারবার কাজটি স¤পন্ন করার তাগিদ দেয়ার পরও তিনি বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সঞ্জিব সাহার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ইনকামিং কল বন্ধ দেখা যায়। এ বিষয়ে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার টিটু বিশ্বাস জানান, বারবার মৌখিক ও চিঠি দিয়ে জানালেও সঞ্জিব সাহা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুভাষ এন্টারপ্রাইজকে চিঠি দিয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন