ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মেঘনা- গোমতী সেতু’র যানজট এড়াতে মেঘনা-গোমতী নদীতে ফেরি উদ্বোধনের ১৫ দিনের মাথায় ফেরি উধাও দাউদকান্দি ঘাট থেকে। অথচ লাখ লাখ টাকা খরচ করে যানজট এড়াতে ফেরিঘাট নির্মাণ করা হলেও গাড়ি পারাপারের দেখা নেই। সম্প্রতি সরকার দেশের পাইপলাইন খ্যাত জাতীয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের কবলে পড়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে মেঘনা-গোমতী নদীতে ফেরী সার্ভিস উদ্বোধন করে। যার মাধ্যমে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ ট্রেইলরগুলো পারাপারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু আজও দেখা নেই ফেরি সার্ভিসের। ফলে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছেনা দাউদকান্দি ব্রীজ এলাকায় যানজট। প্রতিদিনই কমবেশী যানজন লেগেই আছে। আর যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্বিকার থাকায় ফেরীঘাট উদ্বোধনের মধ্যেই কার্যক্রম স্থবির হওয়ায় ক্ষুব্ধ যানজটের কবলে পড়া সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চার লেনের গাড়ি দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতুর দুই লেনে পার হওয়ার সময় উভয় প্রান্তেই যানজট হচ্ছে । এ ছাড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে যানচলাচল বন্ধ হয়ে সপ্তাহে দু-এক’দিন মেঘনা-গোমতী ব্রীজ এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারনে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হেেচ্ছ নিয়মিত। যাত্রী দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত ভারী পণ্যবাহী গাড়ীগুলোকে বিকল্প পথে ফেরি করে পাড়াপাড়ের কথা চিন্তা করে গত ১৭ আগষ্ট বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রোডে চলাচলরত একটি ফেরি দাউদকান্দি ফেরিঘাটে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ২০ আগষ্ট তড়িগড়ি করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান দাউদকান্দি ফেরিঘাট ফেরি চলাচলের জন্য উদ্ধোধন করেন। তারপর থেকে টানা ১২ দিন দাউদকান্দি ঘাটে ফেরি ‘কুমারী’ ঘাটে অলস অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে কুমারী ফেরির চালক হাসান ঈমাম বলেন, টানা ১২ দিন দাউদকান্দি ঘাটে ফেরি নিয়ে বসে ছিলাম গত ২ সেপ্টেম্বর বিআইডবিøউটিসি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুনরায় পাটুরিয়া-দৌলদিয়া রুটে ফিরে আসি। কি কারনে দাউদকান্দি ফেরি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হলো কেনই বা ফেরত পাঠালো এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হাসান ঈমাম বলেন, আমি হলাম হুকুমের চাকর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সব কিছু হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, তড়িঘড়ি করে দাউদকান্দিও মেঘনা-গোমতী নদীতে ফেরী চলাচলের জন্য উদ্বোধন করলেও এখনও গাড়ী চলাচলের সড়ক নির্মানের কাজ শেষ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো সড়কে ইট বিছিয়ে ওপরে বালি দিয়েই সড়ক নির্মাণ শেষ করা হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করলে দুই দিনের বেশি টিকবে না বলে মন্তব্য করেন।
যাত্রী ও পণ্যবাহী একাধিক যানচালক, যাত্রী, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর কারণে মূলত যানজট হচ্ছে। আট ও চার লেন দিয়ে আসা দ্রুত গতির যানবাহনগুলো সেতুর মুখে এসে থেমে যাচ্ছে। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
এ বিষয়ে নারায়নগঞ্জ জেলা সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ফেরিটি ঈদ কেন্দ্র করে চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যাতে ঈদে বাড়ী ফিরতে যাত্রীরা ভোগান্তীতে না পরে। সেতু এলাকায় বর্তমান যানজটের বিষয়ে তিনি বর্তমানে ছোটখাটো যানজটে যাত্রীদের তেমন কোন ভোগান্তি হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন