ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’ ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির আভিযোগে এক অভিভাবকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্তব্যরত শিক্ষকরা তাদের শরীর চেক করে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করেন।
আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে পুরো ‘জালিয়াত চক্র’কে গ্রেফতারের জন্য আটক জালিয়াতদের নাম ও পরিচয় এখনো প্রকাশ করেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষা শেষে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, দুইজনকে আমরা আটক করে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে রেখেছি। ওদের দুজনের কাছেই ডিজিটাল ডিভাইস পাওয়া গেছে। এরমধ্যে একজন তার অভিভাবকের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে। আমরা সেই অভিভাবকেও গ্রেফতার করেছি। এছাড়া আরো তিনটি কেন্দ্র থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
জালিয়াতির জন্য প্রক্টর একাধিক কোচিং সেন্টারকে দায়ী করে বলেন, নাম সর্বস্ব একাধিক কোচিং সেন্টার এতে জড়িত। আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। আমরা তদন্ত করে সবকিছু প্রকাশ করবো।
এছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক রাব্বানী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভূক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৮৪টি কেন্দ্রে শুরু হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকালে পরীক্ষা শুরুর পর কার্জন হলসহ কয়েকটি পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক মো. আব্দুল আজিজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন