বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

ইসলাম-মসজিদ অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত

পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগারমন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক রায়ে বলেছেন, নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়। আর দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের এমন রায়ের পর ভারতজুড়ে মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগারমন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ইসলামের সঙ্গে মসজিদ অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আল্লাহ পৃথিবীর মাটি তৈরি করার সময় সর্বপ্রথম খানায়ে কাবা তৈরি করেছেন। পৃথিবীর অস্তিত্বের সূচনায় কাবা ঘর। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) যখন মদিনা শরীফে আসেন সেখানে নিজের হাতে মসজিদে নববী তৈরি করেন। ইসলাম ধর্মের যিনি প্রতিষ্ঠাতা তিনি নিজের হাতে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এখন সুপ্রিম কোর্ট কী বলে দেবে মসজিদ প্রয়োজন আছে না, নেই? সুপ্রিম কোর্টকে ব্যাখ্যা কে দিয়েছে তা আমার জানা নেই। মসজিদ অঙ্গাঙ্গিভাবে ইসলামের সঙ্গে যুক্ত। এদিকে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের এই রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা সংক্রান্ত মূল মামলা প্রভাবিত হবে না। সুপ্রিম কোর্ট বলেন, আজকের এই রায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা সংক্রান্ত মূল মামলার রায়কে প্রভাবিত করবে না। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে ওই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঘরে নামাজ পড়লে এক গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু মসজিদে নামাজ পড়লে ২৭ গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। পার্সটুডে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Billal Hosen ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৯:২৮ এএম says : 1
ভারত একটু বাড়াবাড়ি করতেছে। আমি মুসলিম দেশগুলির প্রতি আবেদন করছি যে আপনারা একটু প্রতিবাদ করুন যেন এইরকম পরিস্তিতি না করেন। এই রকম করলে বিশ্বে শান্তি বিনষ্ট হবে। আমি মাননীয় সম্পাদক কে অনুরোধ জেনো এই ইনফরমেশন টা সবাই জানে।
Total Reply(0)
Billal Hosen ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৯:৪৬ এএম says : 1
আল্লাহ বলেন, “বলুন, তিনি আল্লাহ, এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।” (সুরাঃ ১১২, আয়াতঃ ১-৪) আল্লাহ বলেন, “তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।” (সুরাঃ ৪২, আয়াতঃ ১১) জেনে রাখুন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টির স্রষ্টা। তিনি ব্যতিত আর কোন স্রষ্টা এবং নিয়ন্ত্রণকারী নেই। আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।” (সুরাঃ৩৯, আয়াতঃ৬২) আল্লাহ বলেন, “তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা,সব কিছুর স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ?” (সুরাঃ৪০, আয়াতঃ৬২) আল্লাহ বলেন, “আর যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে সে সবই আল্লাহর এবং আল্লাহর প্রতিই সব কিছু প্রত্যাবর্তনশীল।” (সুরাঃ৩, আয়াতঃ১০৯) জেনে রাখুন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। আল্লাহ বলেন, “আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।” (সুরাঃ৫১, আয়াতঃ৫৬) আল্লাহ বলেন, “তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।” (সুরাঃ৯৮, আয়াতঃ৫) বোঝার চেষ্টা করুন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ব্যতিত ইহজগতের কোন সৃষ্টির উপাসনা করা যাবেনা সেটা যাই হোক বা যে-ই হোক। আল্লাহ বলেন, “তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।” (সুরাঃ৫, আয়াতঃ৭২) আল্লাহ বলেন, “বলুনঃ আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।” (সুরাঃ৭২, আয়াতঃ২০) আল্লাহ বলেন, “বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ,আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।” (সুরাঃ১৮, আয়াতঃ১১০) আল্লাহ বলেন, “এবং যাদেরকে আমি গ্রন্থ দিয়েছি,তারা আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে,তজ্জন্যে আনন্দিত হয় এবং কোন কোন দল এর কোন কোন বিষয় অস্বীকার করে। বলুন, আমাকে এরূপ আদেশই দেয়া হয়েছে যে,আমি আল্লাহর এবাদত করি। এবং তাঁর সাথে অংশীদার না করি। আমি তাঁর দিকেই দাওয়াত দেই এবং তাঁর কাছেই আমার প্রত্যাবর্তন।” (সুরাঃ১৩, আয়াতঃ৩৬) জেনে রাখুন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি অন্য কারও ইবাদত করে, সে আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে বা অন্য কাউকে শরীক করে যার ফলে তাঁর সমস্ত ভাল কাজ বর্বাদ হয়ে যায় এবং সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়। আল্লাহ বলেন, “এটি আল্লাহর হেদায়েত। স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা, এপথে চালান। যদি তারা শেরেকী করত, তবে তাদের কাজ কর্ম তাদের জন্যে ব্যর্থ হয়ে যেত।” (সুরাঃ৬, আয়াতঃ৮৮)
Total Reply(0)
Md. Rashed Khan ১ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৪১ এএম says : 0
কোন দেশের আইন কোন ধর্মের বিরুদ্ধে রায় দিতে পারেনা হইক সেটা যে কোন ধর্ম এটা অন্যায় অবিচার।
Total Reply(0)
MOHD WAHIDULLAH KHONDOKER ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১:০৪ পিএম says : 0
I really astonished to hear the news that declared by the supreme court of India. If the mosque is not compulsory for the prayer of the muslims then the temple (mondir) also not to be compulsory for the prayer of Hindus. All mighty Allah will punished the judges.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন