বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না -ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন

ইনকিলাবকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকার

রেজাউর রহমান সোহাগ | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং দেশবরেণ্য আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, ‘দেশ আজ গভীর সঙ্কটে। দেশের অবস্থা ভয়াবহ ও বিপজ্জনক। এ বিপদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা সফল করতে হবে’। দৈনিক ইনকিলাবকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন। এ ছাড়াও এ সাক্ষাৎকারে তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ক প্রশ্নের অত্যন্ত খোলামেলা জবাব দিয়েছেন। নীতির প্রশ্নে আপসহীন এবং সত্যি কথা অত্যন্ত সাহসের সাথে, জোরালোভাবে বলার যোগ্যতার ক্ষেত্রে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে। নিম্নে ইনকিলাবকে দেয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের একান্ত সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :
প্র : দেশের সার্বিক অবস্থা কেমন দেখছেন?
উ : দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ ও বিপজ্জনক। নির্বাচন নিয়ে সরকার কারো সঙ্গেই কোনো আলোচনা করবে না সেটা তো যুদ্ধ ঘোষণার মতো। সরকারের কাজ কী জনগণের সঙ্গে যুদ্ধ করা? দ্রুত সমঝোতা এবং সরকার নমনীয় না হলে আমরা এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে চলে যাবো এবং সে পরিস্থিতিতে আমাদের হাত থেকে নেতৃত্ব চলে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তখন চাইলেও বর্তমান সরকারের পক্ষে সরকার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না।
প্র : জাতীয় ঐক্যের মঞ্চে আপনাকে দেখা গেছে। কোন বিষয়টি আপনাকে এ মঞ্চে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে?
উ : আমি তো একজন ব্যক্তি এবং আমার তো কোনো দল নেই। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি যে নীতি ও মূল্যবোধের কথা বলে যাচ্ছি, তার সবই এই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ঘোষণাপত্রে আছে। যে কারণে আমি এ ঐক্য প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছি এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশকে বর্তমান সঙ্কটের হাত থেকে বাঁচাতে হলে একটি অর্থবহ জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
প্র : কিন্তু সরকারি দলের অনেকেই তো অভিযোগ করছেন যে আপনারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন?
উ : আমরা এদেশের জনগণের কাছে এতটা অপরিচিত নই যে আমাদের কারো কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে যে আমরা কে এবং কারা। আমাদের বিরুদ্ধে এভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে কোনো লাভ হবে না। মূলত এসব কথাবার্তা বলার মাধ্যমে সরকারের দুর্বলতাই প্রকাশ পাচ্ছে।
প্র : ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে যে জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার সফলতার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?
উ : এ ব্যাপারে আমাকে আশাবাদী হতেই হবে। কারণ এটা ছাড়া আর তো কোনো উপায় নেই। শুধু বিএনপির একার নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়, যে পরিবর্তন জনগণ চায়।
প্র : বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের কী করণীয় বলে আপনার পরামর্শ?
উ : একমাত্র সমাধান সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে জনগণকে তাদের পছন্দ মতো সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। বর্তমান সরকার একশ্রেণীর আমলাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও সাজানো। যে কারণে জনগণের স্বার্থ এখানে পুরোপুরি উপেক্ষিত এবং সরকার সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত আমলাদের খুশি করার কাজে। এ প্রচেষ্টা কখনোই কারো জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। এ অবস্থায় সরকার হয়তো সাময়িক আত্মতুষ্টিতে থাকে, কিন্তু পরবর্তীতে এটাই সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরকম অনেক ঘটনাই ইতিহাসের সাক্ষী।
প্র : আপনি তো বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাকশাল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কি আপনার ঐ সময়ের মতো মনে হয়?
উ : ভারত ফেরত নেতৃবৃন্দের আওয়ামী লীগের ওপর একশ্রেণীর ভূত চেপেছে বলে আমার কাছে মনে হয়। যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে, সেই আওয়ামী লীগের হাতেই আজ গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে! বঙ্গবন্ধুর ওপর বাকশাল চাপিয়ে দিয়ে যারা তার হত্যার কাজকে সহজ করে দিয়েছিল, তারা এখনো একদলীয় বাকশাল করার চিন্তা ছাড়েনি। তারা এখনো আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত। আমার মনে হয় নেতৃত্ব এখন আর আওয়ামী লীগের হাতে নেই।
প্র : বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় কোনটি বলে আপনি মনে করেন?
উ : রাষ্ট্র বর্তমানে অনেক অনেক সমস্যা ও সঙ্কটে জর্জরিত। গণতান্ত্রিক কোনো শাসন ব্যবস্থাই নেই। একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ সমস্যাগুলোর সমাধান হতে হবে। তবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে দ্রুত আইনের শাসন এবং জনমতের ভিত্তিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

প্র : ইদানীং সরকারি দলের অনেক নেতারাই তাদের বক্তব্যে বলে বেড়াচ্ছেন যে, কেউ কেউ দেশে একটি অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে এবং ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবরাও আবার এক হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো এখন কেন উঠছে?
উ : এটা সরকারের দুর্বলতা আর আতঙ্কের একটা সুস্পষ্ট নমুনা। বর্তমান সরকার একটা ভয়ভীতির মধ্যে আছে। তারা একদিকে নির্বাচনকেও মোকাবেলা করতে পারছে না, আবার অন্যদিকে ক্ষমতাও ছাড়তে চাচ্ছে না। যে কারণে তারা এখন সব জায়গায় ষড়যন্ত্র খুঁজে। কারণ তারা নিজেরাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় আছে।
প্র : আপনি কি অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো সম্ভাবনা দেখেন?
উ : রাষ্ট্রের নেতৃত্ব যদি যথার্থ না হয় বা নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তখন কী হবে সেটা তো বলা কঠিন। কিছু হলে আমার আপনার কারোরই কিছু বলারও থাকবে না, করারও থাকবে না। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ব্যর্থ হলে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। অতীতে দেশে যা কিছু ঘটেছে, তার সবই তো রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণেই।
প্র : আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা সকলেই মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন। আপনার দৃষ্টিতে গণতন্ত্র কোন অবস্থায় আছে?
উ : কোথায় গণতন্ত্র? গণতন্ত্র তো সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে। এরা তো নির্বাচনকেই খেয়ে ফেলেছে। যেখানে দেশের প্রধান বিচারপতিকে ভয় দেখিয়ে জোর করে দেশ ত্যাগ করানো হয়, সেখানে আবার গণতন্ত্র থাকে কিভাবে? সবচেয়ে কষ্ট লাগে সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে ধ্বংস করেছে এবং পেশাজীবীদের দ্বিভাবিভক্ত করে রেখেছে, যেখানে মানুষের আর ভরসার কোনো জায়গা নেই। আমাদের সাংবাদিকরা আজ মহান পেশার কথা ভুলে গিয়ে অনেকেই দলীয় রাজনীতির লেজুড়বৃত্তির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কিছু কিছু সাংবাদিকের কথা আর আচার-আচরণে মনে হয় যেন তারা তাদের নিজ নিজ পছন্দের রাজনৈতিক দলের কর্মী। স্বাধীন নিরপেক্ষ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা এখন আর নেই। অথচ গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে- মুক্ত চিন্তার প্রকাশ ও স্বাধীন সংবাদপত্র। তবে এত ভয়ভীতির মধ্যেও কিছু কিছু বিচারপতি নিরপেক্ষতা ও সাহস দেখানোর চেষ্টা করছেন যা ইতিবাচক দিক।
প্র : আপনি তো বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মহান নেতার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন এবং তার স্নেহধন্য ছিলেন। আপনার অভিজ্ঞতায় বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ও সরকার পরিচালনার সাথে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও সরকার পরিচালনার তুলনা করতে বলা হলে সেটা আপনি কীভাবে করবেন?
উ : বঙ্গবন্ধু শেষের দিকে যে বাকশাল শুরু করেছিলেন সেটার সাথে শেখ হাসিনার যথেষ্ট মিল আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর যে গণতান্ত্রিক আদর্শ ছিল তার সাথে বর্তমান সরকারের কোনো মিল নেই। সবচেয়ে দুঃখ লাগে, বঙ্গবন্ধুর শালীন ভাষাও তারা ভুলে গেছে। ব্যক্তিগতভাবেও ব্যাপারটি আমার জন্য অনেক কষ্টের। কারণ এই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পেছনে আমাদেরও তো অনেক অবদান রয়েছে।
প্র : অনেকেই আশঙ্কা করছেন এবারও একটি একতরফা নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা হতে পারে। আপনার কি তা মনে হয়?
উ : আমি আগেই বলেছি যে, সরকার অনেক ভয়ভীতির মধ্যে আছে। সরকারের মন্ত্রীরাই বলছে যে ক্ষমতা চলে গেলে তাদের এক লাখ লোককে প্রাণ হারাতে হবে। এ অবস্থায় তারা নিজেদের বাঁচানোর জন্যই এ ধরনের একটা নির্বাচন করার চেষ্টা করবে। তারা এখন এতটাই জনবিচ্ছিন্ন যে, সাজানো নির্বাচন ছাড়া জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাহস তারা রাখে না। তবে শেষ মুহূর্তে হলেও সমঝোতার মাধ্যমে যদি সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার সাহস দেখাতে পারে, তাহলে সেটা তাদের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।
প্র : একটি কথা, রাজনীতিতে বেশ আলোচিত যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব সবসময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
উ : একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক যে, আমাদের দুর্বল ও নতজানু নেতৃত্ব ভারতকে এই সুযোগটি করে দিয়েছে। বর্তমান সরকার তো সবসময় বলার এবং দেখানোর চেষ্টা করছে যে, ভারতের সাপোর্ট তার ওপর রয়েছে। অথচ ভারত বাংলাদেশের কোনো বিষয়কেই পাত্তা দিচ্ছে না। রোহিঙ্গা সঙ্কটেও ভারত বাংলাদেশকে সাপোর্ট না দিয়ে চীনের সাথে মিলে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ভারত এবং চীন মিলে রোহিঙ্গা সঙ্কটের মতো একটা ভয়াবহ সঙ্কট আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। অথচ আমাদের দুর্বল নেতৃত্ব এই ব্যাপারে দেশের স্বার্থে কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নিতে পারেনি। এত বড় একটি সঙ্কটেও ভারত আমাদের পাশে না দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আর ভারত এটা করার সাহস দেখিয়েছে শুধুমাত্র আমাদের নতজানু ও দুর্বল নেতৃত্বের কারণেই; যা খুবই দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত।
প্র : আপনি কি রাজনীতিতে সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা দেখেন?
উ : সমঝোতা হবে বলে আমার কাছে মনে হয় না। কারণ, আওয়ামী লীগ সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং সমঝোতার রাজনীতি করার জন্য যে মেধা ও যোগ্যতার প্রয়োজন, আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে সেটারও অভাব রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Maniruzzaman ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 3
ব্যারিষ্টার মঈনুল ইসলামের ফর্মুলায় দেশ চালালে রসাতলে যাবে।। তিনি যা বলেন নিজে তা করেন না। শুধু পরামর্শ দিয়েই ক্ষেমা!!
Total Reply(0)
দোলন ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:১৮ এএম says : 0
একদম ঠিক কথা বলেছেন
Total Reply(0)
তমা ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:১৮ এএম says : 1
তাইতো এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
Total Reply(1)
Ashraf ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৯ পিএম says : 4
All expression of Br Mainul Islam against Government and in-favor of BNP. It does not prove that, he is clear minded. Govt. has many success, has he forget?
MD Kamruzzaman ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ পিএম says : 1
সত্যি কথা বলেছেন
Total Reply(0)
Md.Mirazur Rahaman ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:০৯ পিএম says : 0
akta ..... abar boro baro kohta.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন