শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:১৭ এএম, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার ও জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর উত্তরায় ঐক্যফ্রন্ট ও জাসদ নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফেসবুক, টুইটার, গুগল ও ইউটিউবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার বিষয়ক খবর ব্যাপকভাবে শেয়ার ও কমেন্ট হতে থাকে। এ ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা পোস্ট দিতে থাকে। এসব পোস্টের বেশিরভাগই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতারের নিন্দা করে পোস্ট দেয়। কেউবা লেখেন, সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। কেউ লেখেন, বিরোধী জোটের আন্দোলনকে দমনের জন্য মইনুল হোসেন সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেউ লিখেছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দিতে এই গ্রেফতার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতনামা ও জনপ্রিয় শিক্ষক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার নিয়ে আইনের যেসব ব্যত্যয় ঘটেছে তা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন,
“ক) একটা অভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা হয়না। বিশেষ করে বাদী নিজে সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করার পরে একই অভিযোগে অন্যদের মামলা দায়েরের কোন যুক্তি থাকতে পারেনা। আদালত আগে দায়ের করা মামলাগুলো জুডিশিয়াল নোটিশে নিতে পারতো। না নিলে, নিজে অন্তত মামলা আমলে নেয়ার আগে তদন্তের আদেশ দিতে পারতো সিআরপিসি সেকশন ২০২ অনুসারে।
খ) মামলা আমলে নিলেও গ্রেফতারী পরোয়ানা না দিয়ে আসামীকে হাজির হওয়ার জন্য সমন দিতে পারতো আদালত। মানহানির মতো খুব লঘু একটি ফৌজদারী অপরাধে একবারে গ্রেফতারী পরোয়ানা দিয়ে দেয়ার নজীর আদৌ আছে কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে।
গ) পেনাল কোডের ৫০০ ধারার অধীন মানহানি মামলা একটি জামিনযোগ্য অপরাধ। এমন একটি অপরাধে জামিন মঞ্জুর হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক হতো। এসব বিবেচনায় নিলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিচার স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না মনে হতে পারে যে কারোর।”
শুধু তাই নয়, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন বাতিল ও ডিভিশন না দেয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক প্রতিবাদ করা হয়। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন দেশের অন্যতম প্রাচীন ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী পদমর্যাদায় সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে আইন অনুযায়ী ডিভিশন প্রাপ্য হলেও তাকে ডিভিশন না দেয়ায় ব্যাপক সমালোচনা করা হয়।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ‘টক শোতে’ দেয়া বক্তব্যগুলো নতুন করে ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক শেয়ার দেয়া হয়েছে। এসব ভিডিও হাজার হাজার ভিউ দেখা যায়। দৈনিক ইনকিলাবেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের উপর করা নিউজগুলো ব্যাপক পঠিত হয়, সর্বাধিক পঠিত তালিকার মধ্যেও উঠে যেতে দেখা যায়।
তবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিপক্ষেও অনেককে পোস্ট দিতে দেখা যায়। অনেকে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সম্পর্কে দেয়া বক্তব্য হাইলাইট করে বক্তব্য পোস্ট দিয়েছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের টেলি কনফারেন্সের কথোপকথনও ফেসবুকে ব্যাপক শেয়ার করা হয়েছে। বিশেষ করে তারেক রহমানের নেতৃত্ব ধ্বংস করা বিষয়ে মইনুল হোসেনের দেয়া বক্তব্য হাইলাইট করে মইনুল বিরোধীরা পোস্ট দেয়।

এদিকে গতকাল দৈনিক ইনকিলাবের ফেসবুক পেজে ‘ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার জরুরি ছিল’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য নিয়ে পাঠকদের মতামত চাওয়া হয়। রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ‘হাঁ’ সূচকে ৮ শতাংশ এবং ‘না’ সূচকে ৯২ শতাংশ ভোট পড়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
আবুল কাসেম ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৪:৪৭ এএম says : 0
আমারও মনে হচ্ছে, সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দিতে এই গ্রেফতার।
Total Reply(0)
সুলতান ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:১৯ এএম says : 0
মানহানি মামলায় প্রথমে গ্রেফতারি পরোয়ানার নজির নেই।
Total Reply(0)
মারুফ ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:২৩ এএম says : 0
দেশে এখন যে কি চলছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Total Reply(0)
আজগর ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:২৪ এএম says : 0
মাঝে মাঝে অবাক লাগে যে, আমরা এ কেমন দেশে বসবাস করছি
Total Reply(0)
প্রিতম ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:২৪ এএম says : 0
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তো হবেই কারণ বাকীদের তো মুখে তালা
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন