সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে মানহানির দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলা দুটির কার্যক্রম ছয় মাসের স্থগিত করেছেন। এছাড়াও নথি তলব করেছেন আদালত। এসময় আদালত বলেছেন, মানহানীর অভিযোগে কেবল অপমানিত ব্যক্তি মামলা করতে পারবেন। অন্য কারও এ মামলা করার আইনগত সুযোগ নেই। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি খন্দকার মাহবুব হোসেন; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
পরে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা ইনকিলাবকে বলেন, মানহানির অভিযোগে রংপুর ও জামালপুরের মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুই মামলায় ৬ মাসেন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা দুইটি কার্যক্রম স্থগিত করেেেছন এবং মামলার নথি চেয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে ৪ সপ্তাহের রুলও জারি করেছেন। গত ৮ নভেম্বর এ দুই মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মইনুল হোসেন। পরে সে আবেদন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতলিকা থেকে বাদ দেয়া হলে তা বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চে তোলা হয়।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টিভির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় পর দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মামলা হচ্ছে ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে রংপুরের এক মামলায় গত ২৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের হওয়া ২২টি মামলার মধ্যে ২০টি মানহানির মামলা, বাকি দুটি মামলা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। গত ৩ নভেম্বর মইনুল হোসেনকে ঢাকা থেকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৪ নভেম্বর এ মামলায় মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর তাকে রংপুর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন