মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা
মেহেরপুরের গাংনীতে মিলন হোসেন (৩৭) নামের এক কুয়েত প্রবাসীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মিলন হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে গাংনী শহরের উপকণ্ঠ ঝিনেরপুল এলাকায় সড়কের পাশে গর্তের মধ্য থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পিতা। জানা গেছে, সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মিলন হোসেন মাস তিনেক আগে কুয়েত থেকে বাড়ি ফেরে। গাংনী শহরের বন বিভাগ পাড়ায় মিলন হোসেন একটি বাড়ি নির্মাণ করছেন। নির্মাণাধীন বাড়িতে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। গত রোববার সন্ধ্যার আগে শ্যামপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলযেগে গাংনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মিলন। সারা রাত তার কোন খোঁজ মেলেনি। পরদিন সকালে ঝিনেরপুল এলাকার সড়কের পাশে একটি গর্তের মধ্য থেকে তার লাশের সন্ধান পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের পিতা আব্দুল হামিদ মল্লিক জানান, আগামী শনিবার তার আবারো কুয়েতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো। নিহত মিলন হোসেনের ছোট ভাই সুমন হোসেন জানান, আমার ভাই মিলন হোসেন কুয়েতে থাকা অবস্থায় গাংনী পৌর সভার বনবিভাগ পাড়া এলাকায় বাড়ি তৈরী করেছেন। মিলন হোসেনের স্ত্রী মাকছুরা খাতুন কুয়েতে থাকা অবস্থায় স্ত্রী চৌগাছা এলাকার হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেনের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ভাইরা আব্দুর রশিদ তার কাছ থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ভাইরা আব্দুর রশিদ ও স্ত্রী মাকছুরা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোজাম্মেল হোসেন মিলে ভাইকে হত্যা করেছে। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে রক্তামাখা একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। মাথায় হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোজাম্মেল হোসেনকে আটকের চেষ্টা চলছে। নিহত মিলন হোসেনের স্ত্রী মাকছুরা খাতুন ও ভাইরা আব্দুর রশিদকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন