গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সত্তরের নির্বাচন নিছক ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন ছিল না। এ নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোটা বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে তাঁর সে পরিকল্পনা বাস্তবরূপ নেয়। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমেই তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন।
গতকাল রোববার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘রহমান দ্যা ফাদার অব বেঙ্গল’ শীর্ষক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাপানি চলচ্চিত্রকার নাগিসা ওসিমা বঙ্গবন্ধুর ওপর ১৯৭২ সালে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। আর্কাইভ ৭১ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ছিল বড় একটি ষড়যন্ত্র। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকন্ডের মাধ্যমে বাঙালী জাতির পরিচয় মুছে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। সাতই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধের সকল দিকনির্দেশনা দেন। সেই ভাষণটি নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১ বছর সরকারিভাবে ভাষণটি নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। সেই ভাষণ আজ জাতিসংঘের ইউনস্কোর সেরা ভাষণের মর্যাদা পেয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকতেও কোনদিন নিজকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করেননি। কিন্তু তার মৃত্যুর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার ষড়যন্ত্র থেকে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করা হয়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর তৎকালিন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান দিনের বেলায় চট্টগ্রাম বেতার থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট মো. আলমগীর শামসুল আলামিন, রিহ্যাবের প্রথম ভাইসপ্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ও সাংবাদিক প্রণব সাহা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন