মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ সইতে না পেরে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মিশাউল সাদিদ নামে এক স্কুলছাত্র।
মাগুরা শহরতলীর বেলনগন গ্রামের মাছুদুল হকের ছেলে সাদিদ মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে ওই বিদ্যালয়ের বিএনসিসি’র একজন সদস্য।
গতকাল সোমবার দিনগত রাতে আত্মহত্যা করে সে।
সাদিদের চাচাতো ভাই জাকারিয়া ও সহপাঠী সাদিকুর সাদি জানায়, ওই স্কুলে মোবাইল ফোন আনা নিষেধ। সাদিদ রোববার স্কুলে গিয়ে আবিদ নামে এক সহপাঠীর ব্যাগে মোবাইল ফোন দেখে সেটি নিয়ে লুকিয়ে রাখে। ফোন না পেয়ে আবিদ সেটি স্কুলের বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে শুরু করে। একপর্যায়ে সাদিদ ফোনটি ফিরিয়ে দিয়ে আবিদকে জানায়, স্কুলে ফোন আনা নিষেধ, তাই সে মজা করার জন্য তার ফোনটি লুকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু সিয়াম নামে অপর এক সহপাঠী স্কুলের বিএনসিসি শিক্ষক ফিরোজ হোসেন ও অফিস সহকারী আকরাম হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করে। এ ঘটনায় সোমবার ফিরোজ ও আকরাম সাদিদকে চোর আখ্যা দিয়ে বিএনসিসির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন এবং তার ইউনিফর্ম (বিএনসিসি’র) ফেরত নেন। একই সঙ্গে সাদিদের বাবা মাসুদুল হকের কাছেও এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন আকরাম। পরে পরিবারের সদস্যরাও সাদিদকে গালমন্দ করেন। অপবাদ সইতে না পেরে সে সোমবার সন্ধ্যার পর কোনো এক সময় নিজের শোবার ঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন