শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাগুরায় কেএমপির এডিসি লাবনী ও তাঁর সাবেক দেহরক্ষীর আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক মামলা

ঘটনার যোগসুত্র খুজতে দুজনের মোবাইল ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর উদ্যোগ পুলিশের

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২২, ৪:৪৩ পিএম

 

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি খন্দকার লাবণী ও তার সাবেক দেহরক্ষী মাগুরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের আত্মহত্যার ঘটনায় মাগুরা সদর থানা ও শ্রীপুর থানায় পৃথক দুটি মালা দায়ের করা হয়েছে। লাবনীর ভাই হাসনাতুন আজম বাদী হয়ে এবং মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাদুটি আত্মহত্যা নিশ্চিত হয়ে দুজনের মোবাইল ফোন ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এদাকে এডিসি লাবনীর লাশ তার নিজগ্রাম শ্রীপুর উপজেলার বরালিদাহ পারিবারিক কবরস্থানে এবং মাহমুদুল হাসানের লাশ কুষ্টিয়ার তার নিজ বাড়ি পিপুলবাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

খুলানায় কর্মরত অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার লাবণী আক্তার বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সানঙ্গদিয়া গ্রামে তাঁর নানাবাড়ির সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে।

ঘটনার দুই দিন আগে ছুটিতে মাগুরায় আসেন । তিনি বিসিএস ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টার দিকে মাগুরা পুলিশ লাইনসের চারতলা ভবনের ছাদে শটগানের গুলিতে আত্মহত্যা করে মাহমুদুল হাসান নামের কনস্টেবল। গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের ওই কনস্টেবলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। এর আগে সে লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে খুলনায় কর্মরত ছিলেন বলে পুলিশের একটি সুত্র জানায়।

নিহত খন্দকার লাবণীর বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামে। তাঁর স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে নানার বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার করেন কেএমপির এডিসি খন্দকার লাবণী আক্তার।


অন্যদিকে কনস্টেবল মাহমুদুলের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, মাহমুদুল ডিউটি শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরে ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। কী কারণে এ দুজন আত্মহত্যা করেছেন, তা জানা যায়নি। তবে এ আত্মহত্যা দুটির কোন যোগসুত্র আছে কিনা তা পুলিশ গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন