প্রতিদিন লোডশেডিং ভোগান্তিতে পড়ছেন কুমিল্লার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। আশ্বিনের গরমে বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, শিল্প-কারখানায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ঘটনা কাজ-কর্ম ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের দাবি মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার বিষয়টি লোডশেডিং নয়।
কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণের তিনটি বিভাগ কুমিল্লা শহর ওশহরতলীতে কাজ করছে। এছাড়াও লাকসাম, বুড়িচং, চৌদ্দগ্রামেও রয়েছে বিউবোর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কার্যক্রম। কুমিল্লার অন্যান্য উপজেলার গ্রামীণ জনপদে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) কাজ করছে। কুমিল্লায় প্রতিদিন শহর ও শহরতলীর সকাল দুপুর, রাতে এমনকি ভোরেও বিদ্যুতের গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতিদিনই দিনে-রাতে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এক ঘন্টা থেকে দেড় দুই ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ আসছে। বাসাবাড়িতে পানির সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। স্থানীয় পত্রিকা অফিসগুলোর কাজেও বিঘ্ন ঘটছে। আবার ছাপাখানা, ডিজিটাল সাইনের ব্যবসা, কম্পিউটার কম্পোজ, ফটোকপিয়ার দোকান ও এটিএম বুথের গ্রাহকরা হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়ছেন। এছাড়াও পোলট্রি ফার্ম ও বিসিক শিল্প এলাকায় কলকারখানায় উৎপাদন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার প্রধান প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি সেন বলেন, ‘কুমিল্লায় কোনরকম লোডশেডিং নেই। তবে বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার বিষয়টি সিরিয়াস কিছু না। এটি স্থানীয়ভাবে কোন সিষ্টেমের ক্রুটি হতে পারে। বিক্রয় ও বিতরণের তিনটি বিভাগেই নতুন টান্সফরমার স্থাপনের কাজ চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন