‘২০২২ সালের ২১ মার্চ দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে’ ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘোষণার ৪ মাস পর উল্টো ঘোষণা আসে পর্যায়ক্রমে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের। অথচ ২০১৭ সালে ভারতের আদানি গ্রæপের সঙ্গে করা এক চুক্তিতে এক ইউনিট বিদ্যুৎ না পেলেও গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ মাসের ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা (১৪১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার) দিতে হয়। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে শত শত কোটি টাকা বেসরকারি ব্যবসায়ীদের দেয়া হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে নিজেদের বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার ব্যপারে আগ্রহ দেখানো হচ্ছে না। দেশের নিজস্ব বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ না থাকায় ‘শতভাগ বিদ্যুৎ’ কার্যত কেতাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। ভারত এবং দেশের ব্যাক্তি মালিকানার কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ কেনার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের আমলা সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৬১ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ঝুলে রয়েছে ৯ বছর ধরে। এ সময়ে ৭৭টি প্রকল্পের কাজ শুরু করা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬টি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা দেশে নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দিকে বেশি জোর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরামর্শ দিলেও মন্ত্রণালয়ের আমলা ও দায়িত্বশীলরা ভারতের আদানি কোম্পানি ও দেশের ব্যাক্তি মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ নিতে বেশি উৎসাহী। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়ে জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি দেয়ায় এ সেক্টরের দায়িত্বশীলরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের বাস্তবায়ন শতভাগ হচ্ছে। তবে করোনার থাকার কারণে গত দুই বছর কিছু প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়নি। সেগুলোর কাজ চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৯ বছর আগে গ্রহণ করা ৭৭টি বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মধ্যে এই সময়ে বাস্তবায়ন করেছে মাত্র ১৬টি প্রকল্পের কাজ। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এসব প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্দের টাকা দুটোই বারবার বাড়ানো হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এসব প্রকল্পের কাজ দ্রæত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। এসব প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা কর্মকতারা বিদেশি প্রকল্প বাস্তবায়নের বেশি ব্যস্ত থাকেন বলে অভিয়োগ রয়েছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ১ লাখ ৫৭ হাজার ১০৩ কোটি টাকার এডিপি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে চলতি অর্থছরের ভৌত লক্ষ্যমাত্র ৮১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কাজ করেছে। চলতি অর্থবছরের ভৌত অগ্রগতি ৫৪ দশমিক ৭৫ শতাংশের কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে জানানো হয়েছে। ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ৫৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
সক্ষমতা থাকলেও জ্বালানির অভাবে চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। উৎপাদন ব্যয় কমাতে জ্বালানি তেলচালিত বেশির ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই কয়লা ও গ্যাসচালিত তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। শীত মৌসুমে তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ চাহিদার সময়ও টানা কয়েক দিন ধরে চলছে লোডশেডিং। গতকাল সোমবার সাভারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। তবে রাজধানী ঢাকার বাইরে অনেক এলাকায় লোডশেডিং হয়েছে একাধিকবার।
জানা যায়, গত ১২ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ প্রায় ৮৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। এ অর্থ দিয়ে প্রায় তিনটি পদ্মা সেতুর মতো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ হাজার ২১ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। এগুলো সবই বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হয়েছে। ওই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় অনেক সময় কেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। এসব কোম্পানির উৎপাদন ব্যয় বেশি। এদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে সরকার গ্রাহকদের কাছে কম দামে বিক্রি করে। যে কারণে সরকারকে এ খাতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। অথচ সরকারিভাবে এসব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড এগুলো প্রকল্পের কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু সঠিক সময়মতো এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অথচ বারবার এসব প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ আবার প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তারা বিদেশি প্রকল্প বাস্তবায়নের বেশি ব্যস্ত থাকেন বলে অভিয়োগ রয়েছে।
তিনি জানান, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার পাওয়ার প্রকল্প (পিজিসিবি অংশ মাতালবাড়ী-মদুনাঘাট ৪০০ বেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে ৩০ জনু। কিন্তু এ প্রকল্পের কাজের সময় আবারো ১ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তত্ত¡াধায়ক প্রকৌশলী মো. এনামুল হক ইনকিলাবকে বলেন, আমার প্রকল্পের কিছু সমস্যা রয়েছে। এ কারণে বাস্তবায়ন শেষ হচ্ছে না। আগামী বছর শেষ হবে।
টেকনিক্যাল এসিসটেন্সর ফর বাংলাদেশ পাওয়ার সেক্টর ডেভেলপমেন্ট এন্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্প। এ প্রকল্প গত ২০১৭ সালে শুরু হয়েছে ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা; কিন্তু পরে তা বাড়িয়েছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। প্রিপেইড মিটারিং ফর ডিস্ট্রিবিউশন কুমিল্লা এন্ড ময়মনসিংহ প্রকল্প। সেটি ২০১৩ সালে শুরু হয়ে ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর করা হয়েছে। ঘোড়াশাল-৩ বি পাওয়ারিং প্রজেষ্ট। এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে শেষ করার কথা তা এখনো শেষ হয়নি। তবে এখন এ প্রকল্পের মেয়াদ আবারো বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর করা হয়েছে। ঘোড়াশাল ৪র্থ ইউনিট রিপাওয়ারিং প্রকল্প গত ২০১৬ সালে শুরু করে ২০১৮ সালে শেষ করার কথা ছিল। বর্তমানে এ প্রকল্পের মেয়াদ আবারো বাড়িয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হবে বলে জানানো হয়। রংপুরের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালে শুরু হয়ে ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩০ জুন করা হয়েছে। সিলেট বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালে শুরু হয়ে ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন করা হয়েছে।
খুলনা ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়েছে ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে চলতি বছরের ৩০ জুন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় ২০১৮ সালে। এ প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সময় বাড়িয়েছে আগামী ২০২৪ সালের ৩০ জুন করা হয়েছে।
কুমিল্লা জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় ২০১৮ সালে। এ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সময় বাড়িয়েছে আগামী ২০২৫ সালের ৩০ জুন করা হয়েছে। সৈয়দপুরের ১৫০ মেগাওয়াট লিম্পল সাইকেল (এইচএসডি ভিত্তিক) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প গত ২০১৯ সালে শুরু হয়ে চলতি বছর ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা কিন্তু এখনো কাজেই শুরু হয়নি। চট্টগ্রাম জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় ২০১৮ সালে। এ প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সময় বাড়িয়েছে আগামী ২০২৫ সালের ৩০ জুন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম রাউজানের কনন্ট্রাকশন অব ৪০০ মে:ও: কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট এটি প্রকল্প ২০২০ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা। হাতিয়া দ্বীপ নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্প ২০২০ সালে শুরু হয়ে চলতি বছর জুনে শেষ হবে।
স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেষ্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অফ বিপিডিবি প্রকল্প ২০২২ সালে শুরু হয়ে ২০২৫ সালে শেষ হবে। শাহজীবাজার ১০০ মে:ও: গ্যাস টারবাইন্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ প্রকল্পের ২০১৭ সালে শুরু হলে তা শেষ হয়নি এখনো। তবে এ প্রকল্পের কাজ আবারো সময় বাড়িয়েছে চলতি বছর ৩০ জুন করা হয়েছে।
শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) ২য় সংশোধিত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে তা গত বছর ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলে তা এখনো শেষ হয়নি।
শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) ২য় সংশোধিত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে তা গত বছর ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলে তা এখনো শেষ হয়নি। সৌর বিদ্যুৎচালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়ে গত বছর শেষ হওয়ার কথা; কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। খুলনা বিভাগে বাপবিবোর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালে শুরু হয়েছে আগামী ২০২৫ সালের জুনে শেষ হবে। পিজিসিবির ৪০০/২৩০/১৩২ কেভি গ্রীট নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেষ্টের কাজ ২০১৩ সালে শুরু হয়ে গত বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছে এখনো শেষ হয়নি।
ঢাকা-আমিনবাজার-মাওয়া এবং মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ গত ২০১৬ সালে শুরু হয়েছে । চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হবে বলে জানা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রীড স্ট্রেংদেনিং প্রকল্প (সংশোধিত) ২০১৬ সালে শুরু হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি থাকার কারণে এতো দিনে হয়নি। তবে তা চলতি জুন মাসে হবে।
গ্রীডভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয়েছে। তা গত ৭ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। এ প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে আগামী ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। পাওয়ার গ্রীড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনথেনিং প্রজেষ্ট আন্ডার পিজিসিবি কাজ ২০১৬ সালে শুরু হলে তা ৮ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। এ প্রকল্পের কাজ আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। পটুয়াখালী (পায়রা) গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন এবং গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার সময় বাড়িয়ে চলতি বছর ৩০ জুন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিলায়েরিলিটি এন্ড ইফিসিয়েন্স ইমপ্রæভমেন্ট প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১ জুলাই ২০১৭ সালে আগামী বছরে ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে বলা জানানো হয়।
পূর্বাঞ্চলয়ে গ্রীড নেটওয়ার্কের পরিবর্ধন এবং ক্ষমতাবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে শেষ হবে আগামী বছর ৩১ ডিসেম্বর। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ট্রান্সমিশন গ্রীড সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে জুলাই মাসে তা বাস্তবায়ন হবে চলতি জুন মাসে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর উৎপাদিত বিদ্যুৎ ইভাকুয়েশনের জন্য সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১ এপ্রিল ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে ৩১ ডিসেম্বর কাজ বাস্তবায়ন না হওয়া তার আবার ১ বছর সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন