চিত্রনায়ক আমিন খান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ২৫ বছর বা রজত জয়ন্তী পূর্ণ করেছেন। ১৯৯৩ সালের ১ অক্টোবর মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত সনি কথাচিত্র প্রযোজিত ‘অবুঝ দুটি মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র তার অভিষেক হয়। এর আগে ১৯৯০ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ আমিন খানেরই চাচা আবু হাসান খানের অনুপ্রেরণায় এই প্রতিযোগিতায় নিজের নাম লেখান। ১৯৯২ সালের ২৪ ডিসেম্বর আমিন খানের জন্মদিনে তার প্রথম চলচ্চিত্রের শূটিং শুরু হয়েছিলো। শেষ হয় ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই। ১৯৯৩ সালের ১ অক্টোবর সারা দেশের ৮০টি সিনেমা হলে ‘অবুঝ দুটি মন’ মুক্তি পেয়েছিলো। ‘অবুঝ দুটি মন’ মুক্তির আগেই আমিন খান বাদল খন্দকারের ‘দুনিয়ার বাদশা’ চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। তার তৃতীয় চলচ্চিত্র এফ আই মানিকের ‘বীর সন্তান’। প্রথম চলচ্চিত্রে তার নায়িকা ছিলো চাঁদনী। আমিন খানের প্রথম চলচ্চিত্রের ‘স্বর্গ হতে এই জগতে তুমি এসেছো আমি এসেছি’ গানটি সে সময় দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। মৌসুমীর বিপরীতে প্রথম আমিন খান ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে, শাবনূরের বিপরীতে দীলিপ সোম’র ‘হৃদয় আমার’, পপির বিপরীতে একই পরিচালকের ‘তোমার জন্য ভালোবাসা’ এবং পূর্ণিমার বিপরীতে বাদশা ভাই’র ‘কাল্লু মামা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর তাদের সঙ্গে আরো বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আমিন খান অভিনীত আলোচিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘তোমার আমার প্রেম’,‘ ঠেকাও মাস্তান’,‘মুখোমুখি’, ‘ফুল নেবোনা অশ্র নেবো’,‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘বিপদজনক’,‘টোকাই থেকে হিরো’,‘মরণকামড়’,‘চাকরের প্রেম’,‘বিরোধীদল’,‘আজ গায়ে হলুদ’ ইত্যাদি। চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবনের ‘রজত জয়ন্তী’ পুর্তিতে আমিন খান বলেন, ‘শুরুতেই মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা, আমার বাবা মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা, কারণ তাদের কারণে এই সুন্দর পৃথিবীতে আসা। আমার চাচা আবু হাসান খানের প্রতিও বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ, তিনি আমাকে নতুন মুখের সন্ধানে নাম দেবার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। অনেক কৃতজ্ঞ মোহাম্মদ হোসেন ভাইয়ের প্রতি কারণ তিনি তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে আমাকে নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে বাদল খন্দকার, এফ আই মানিক, মনতাজুর রহমান আকবর’সহ আরো অনেকেই আমাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সব পরিচালক, প্রযোজক, আমার সহশিল্পী, সিনেমাটোগ্রাফার’সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন