সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিএনপি-আ.লীগে চলছে জেতার লড়াই

লক্ষীপুর-৩ : সদরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া

লক্ষীপুর থেকে মো. কাউছার | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে লক্ষীপুরে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত এ কে এম শাহজাহান কামাল বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী। নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী নির্বাচিত হন। এ আসনে বিএনপি-জামায়াতের ভোটার বেশি। এবার এখানে বিএনপি ও আ.লীগ নির্বাচনী ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্যণীয়। বিএনপিতে একক ও আ.লীগের অনেক প্রার্থী। বিএনপি-আ.লীগ দু’দলের মধ্যে হবে হারজিতের লড়াই।
আ.লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এ কে এম শাহজাহান কামাল, লক্ষীপুর মেয়র আলহাজ মো. আবু তাহের, জেলা আ.লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, শিল্পপতি এম এ হাসেম, মোহাম্মদপুর থানা আ.লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, জেলা আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি দেলোয়ার হোসেন।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাবেক এমপি ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন মনোনয়ন পেতে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যাটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, আমি এলাকার উন্নয়নে সদা কাজ করে যাচ্ছি। এলাকার সাথে আমার কোনো দূরত্ব নেই। দলীয়ভাবেও আমার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। আগামী নির্বাচনে আমি নমিনেশন পাবো বলে আশা রাখি।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনকে সক্রিয় করতে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। হামলা-মামলা মোকাবেলা করে ছাত্রজীবন থেকে দলের সঙ্গে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। আমার বিরুদ্ধে এখনো অর্ধশতাধিক মিথ্যা মামলা রয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে লক্ষীপুর সদর নয়, সারা দেশে বিএনপি ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে।

জেলা আ.লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নেতাকর্মীরা যখন ঘরবাড়ি ছাড়া, তখন নেতাকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। জেল থেকে মুক্ত করতে কাজ করেছি। সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সভা-সমাবেশ, মতবিনিময়ের মাধ্যমে দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার কাজ করেছি। নেত্রী আমার দীর্ঘদিনের ত্যাগের মূল্যায়ন অতীতে করেছেন, আশা করি ভবিষ্যতেও করবেন।
শিল্পপতি আ.লীগ নেতা এম এ হাসেম বলেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার সাথে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হয়েছে, এবার তেমন হবে না। তৃণমূল নেতাদের সাথে আমার সুর্স্পক আছে, নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে ১০ বছর দেশব্যাপী উন্নয়নসহ নিজের ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগিয়ে ইনশাআল্লাহ বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।

লক্ষীপুর পৌর মেয়র আলহাজ মো. আবু তাহের বলেন, নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে আমি পাশে ছিলাম। এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।সদর মনোনয়ন পেলে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এ আসনটি নেত্রীকে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
মোহাম্মদপুর থানা আ.লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার বলেন, সবসময় লক্ষীপুর-৩ আসনের সকল শ্রেণিপেশার, মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের সাথে প্রতিনিয়ত নিবিড় যোগাযোগ রেখে দলীয় আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। যুবসমাজের কর্মসংস্থানে এলাকায় শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েছি। সরকারকে শক্তিশালী করার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পাশাপাশি এম এ সাত্তার ট্রাস্টের মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক মানুষকে সাধ্যানুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। মনোনয়ন দিলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এলাকার জনগণ লক্ষীপুর-৩ আসনটি উপহার দেবে ইনশাআল্লাহ।

জেলা আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি দলীয় ও সামাজিক কাজে ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দান অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। তিনিও মনোনয়নে আশাবাদী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন