গোপালগঞ্জে ৯ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সায়রা আহমেদ অনন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচী করেছে। বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা এ কর্মসূচী পালন করেন। তারা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী অনন্যার মৃত্যুর জন্য বেপরোয়া বাসকে দায়ী করেন। এ ঘটনায় তারা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। অনন্যা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপাপীনাথপুর বাসাবাড়ি গ্রামের আরজ আলী শেখের মেয়ে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় অনন্যা তার বাবা ও মার সাথে একটি ইজি বাইকে গ্রামের বাড়ি থেকে গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ার বাড়িতে আসছিলো। তাদের ইজি বাইকটি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর ব্রিজের পশ্চিমপাশে পৌঁছালে একটি বেপরোয়া গতির বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অনন্যা মারাত্মক আহত হয়। তাকে গোপালগঞ্জে জেনারেল হাসপতালে ভর্তির পর রাত ৯ টার দিকে সে মারা যায়। অন্যদিকে গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মুরাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সাথে মাইক্রোর ধাক্কা লেগে মাইক্রো চালক ফরিদ শেখ (২৮) মারাত্মক আহত হয়। সংকটজনক অবস্থায় তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করা হলে ফরিদ সকাল ৯ টার দিকে মারা যায়। ফরিদ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা সদরে বাসষ্ট্যান্ড এলাকার আবুল হোসেন শেখের ছেলে। গোপালগঞ্জ থেকে এ মাইক্রোটি ফরিদপুর যাচ্ছিলো জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন