রাজশাহীর তানোর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মশিউর ওরফে মুরশেদের বিরুদ্ধে সুলতানা নামের এক গৃহবধূকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসের ৩রা অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমশো মেডিকেলের ভিতরে।
এনিয়ে ঘটনার পরদিন গৃহবধূ সুলতানা কাউন্সিলর মশিউর রহমানকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ১২দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আজোবদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এতে করে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিচারের আশায় ঘুরছেন প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে। অন্যদিকে অভিযোগের পর থেকেই ওই গৃহবধূকে কাউন্সিলর বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে বলেও ভুক্তভুগির অভিযোগ করেন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৩রা অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূ সুলতানা আমশো মেডিকেলের ভিতরে স্বামী সাফিউলের কাছে যান । সেখানে গিয়ে সাফিউলের সাথে তার স্ত্রী সুলতানার কথাকাটাকাটি হয়। এসময় সাফিউল মোবাইলে ফোন করে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মশিউর ওরফে মুরসেদকে ডাকেন।
কাউন্সিলর ঘটনা স্থলে এসেই গৃহবধূ সুলতানাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটা শুরু করেন। এসময় গৃহবধূ চিৎকার দেয়া শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন । পরে তাকে স্থানীয় ডাক্তার দারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ নিয়ে গৃহবধূ সুলতানা জানান,আমার স্বামীর সাথে কোন বিষয়ে তর্কবিতর্ক হতেই পারে। তাই বলে কাউন্সিলর পশুর মত আমাকে মারবে এটা কোন ধরনের কথা। শুধু মারেনি এত অশ্লিল ভাষায় গালি গালাজ করেছেন তা বলা যাবেনা। থানায় অভিযোগ করা প্রায় ১২ দিন হয়ে গেলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা পুলিশ। কাউন্সিলরের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ঘটনা ধামা চাপা দেবার চেষ্টা করছেন।
এনিয়ে কাউন্সিলর মশিউর ওরফে মুরশেদ বলেন, সুলতানার খুব মুখদোস এজন্য উত্তম মাধ্যম দেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য কোর্টে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ আসলেই প্রয়োজনে মামলা দায়ের করা হবে। কারণ একাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন