খুলনার ডুমুরিয়ার পল্লিতে মো. রসুল বরকন্দাজ (২১) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার গোনালী গ্রামের। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার নোয়াকাঠি গ্রামের হালিম বরকন্দাজের ছেলে রসুল বরকন্দাজের সাথে এক বছর আগে একই উপজেলার গোনালী গ্রামের আমজাদ শেখের মেয়ে ইয়াছমিন বেগমের (১৯) বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে সাংসারিক অশান্তি চলতে থাকে এবং স্ত্রী ইয়াছমিন তার বাপের বাড়িতে থাকে। ৫ অক্টোবর রসুল তার স্ত্রীকে আনার জন্য শ্বশুরবাড়িতে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা হালিম বলেন, ‘৫ অক্টোবর আমার বেয়াই ফোন করে তার মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য ছেলেকে যেতে বলে। কথা অনুযায়ী রসুল তার শ্বশুরবাড়ি যায়। হঠাৎ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফোন করে আমাদেরকে জানানো হয়, রসুল গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। আমরা গিয়ে দেখি রসুলের গলায় ওড়না ও গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলানো এবং তার পা মাটির সঙ্গে লাগানো আর সারা শরীরে ধুলোবালি মাখা। আমি নিশ্চিত, ওরা আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে।’
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার এসআই অনিষ ম-ল জানান, লাশটি যেভাবে ঝুলানো ছিল তাতে মনে হয় না, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ব্লেড দিয়ে তার হাতের কজ্বি ও পায়ের গোড়ালির ওপরে কাটা চিহ্ন দেখা গেছে। সুরতহাল রির্পোট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় নিহত গোলম রসুলের মা আকলিমা বেগম বাদি হয়ে পুত্রবধূ ইয়াসমিন বেগম, বেয়াই আমজাদ শেখ ও বিয়াইন সুফিয়া বেগমের নাম উল্লেখ করে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিন ও শাশুড়ি সুফিয়া বেগমকে আটক করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন