মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

তবু মাদক অনিয়ন্ত্রিতই

মীর আব্দুল আলীম | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ধরপাকড়-অভিযান-বন্দুকযুদ্ধের পরও কেন অনিয়ন্ত্রিত মাদক? মাদকবিরোধী অভিযানে গডফাদাররা নেই; আছে কতক চুনপুঁটি। তাই মদক নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। গডফাদারদের এ অভিযানের আওতায় না আনলে কখনই মাদক নিয়ন্ত্রণ হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে সারাদেশে একের পর এক বন্দুকযুদ্ধে লোক মরছে। চলতি বছরের ৪ মে থেকে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়ে এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক মাদক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিহত এবং প্রায় ৪০ হাজার গ্রেফতার হয়েছে। তারপরও মাদক ব্যবসা কোন বন্ধ হচ্ছে না? যারা মাদক সেবন করছে তারা এখনও চাহিদার মাদক হাতের নাগালে ঠিকই পাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হচ্ছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত-আহত হচ্ছে কিন্তু মাদক বিক্রেতা কমছে না। প্রতিনিয়ত নতুন ব্যবসায়ী তৈরি হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের ছোটখাট মাদক ব্যবসায়ী নিহত কিংবা গ্রেফতার হলে গডফাদাররা মূহুর্তেই ঐ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী তৈরি করে আবারও শুরু করে মাদক কারবার। দিনদিন মাদক ব্যবসায়ীদের ভয় কেটে যাচ্ছে, আর তাতে মাদকের ভয়াবহতা বাড়তে পারে। মাদক নিয়ন্ত্রণে খুচরা বিক্রেতা নয়, আগে গডফাদারদের মাদক বিরোধী অভিযানের আওতায় আনতে হবে।
মাদকবিরোধী অভিযানে আমরা কী দেখছি? এ অভিযানে টার্গেট করা হচ্ছে মূলত খুচরা মাদক বিক্রেতাদের। মাদকের গডফাদাররা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া পায়; গাঢাকা দেয়ার ফুরসত পায়। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আইনি সমস্যায় পড়তে হয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন গডফাদারদের টার্গেট করলেও থমকে যায় রাজনৈতিক হুঙ্কারে। গডফাদারদের কথা সবাই জানে, সরকার জানে। নানা ফোঁকড়ে তারা অন্তরালেই থেকে যায়। তাহলে মাদক ব্যবসা রোধ হবে কী করে? আগে ঐসব গডফাদারদের শাস্তি দিতে হবে, নয়তো তাদের দলীয় কিংবা প্রশাসনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ কাজটা সরকারকেই করতে হবে। এদেশে মাদকের গডফাদারদের নিয়ন্ত্রণ এত সহজ নয়। এরা অনেক শক্তিশালী, ক্ষেত্র বিশেষ মন্ত্রীর চেয়েও বেশি। মাদকের গডফাদারদের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে রাজনৈতিক কপটাচার বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে এভাবে অভিযান চালিয়ে এ সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে না।
মাদকের ব্যবসা ও ব্যবহার বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা যে প্রবল তা তাঁর বক্তব্যে বুঝা যায়। তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। জিরো টলারেন্স নীতিপ্রসূত মাদকের এ অভিযানে এ পর্যন্ত বহু মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে নিহত এবং গ্রেফতার হয়েছে। সদিচ্ছা নিয়েই অভিযান পরিচালনা করছে সরকার। তবে মাদকের ব্যবসা ও ব্যবহার ঠেকাতে এ জাতীয় কর্মসূচি যথাযথ কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। জাতীয়-আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, মাদক এশটি বৈশ্বিক সমস্যা, এর সমাধান অবশ্যই কাম্য। তবে যে পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা হচ্ছে, তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এজন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। রাজনৈতিক ছত্রছায়া এবং পুলিশের সদিচ্ছার অভাবে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। আইন যাতে ঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় সে জন্য আইনের ফাঁকফোকড় বন্ধ করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে।
নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। বিশেষ করে ফেনসিডিল ও ইয়াবা সহজলভ্য ও বহনযোগ্য বলে এর বিস্তার দেশজুড়ে। দেশের এমন কোনো উপজেলা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে মাদকের থাবা নেই। দেশজুড়ে এক বিশাল জাল বিস্তার করে আছে এই মরণ নেশার ভয়াবহ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র মাফিয়াদের সঙ্গে রয়েছে এদের শক্ত ও গভীর যোগাযোগ। গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশক জুড়ে ‘হেরোইন’ নামক মরণ নেশা ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল। এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ করে অবধারিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। খুব দামি বলে পরবর্তী সময়ে এর স্থান দখল করে নেয় ফেনসিডিল ও ইয়াবা। বর্তমান নেশাসক্ত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ দুটি নেশাদ্রব্য বেশি জনপ্রিয়। একে ঘিরে দেশব্যাপী গড়ে উঠেছে বিশাল নেটওয়ার্ক। ফেনসিডিলের চেয়ে ইয়াবাই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নেশাসক্ত তরুণ-তরুণীর সংখ্যা কত, তা আদৌ জানা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন সূত্র মতে, এর আনুমানিক সংখ্যা ৫০ লাখের মতো।
আমাদের সমাজ জীবনে মাদকের ব্যবহার সবাইকেই উদ্বিগ্ন করেছে। এর বিষাক্ত ছোবল অকালে কেড়ে নিচ্ছে অনেক প্রাণ। অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণী হচ্ছে বিপথগামী। এ থেকে পরিত্রাণের আশায় ১৯৯০ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (১৯৯০ সালের ২০ নং আইন) প্রণীত হয়। ওই আইনের ২(ঠ) ধারায় মাদকের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সে মতে, মূলত অপিয়াম পপি বা তৎনিঃসৃত আঠালো পদার্থ; আফিম; আফিম থেকে উদ্ভ‚ত মরফিন, কোডিন, হেরোইন ইত্যাদি এবং এদের ক্ষারগুলো; শতকরা ০.২% এর অধিক মরফিনযুক্ত যে কোনো পদার্থ, কৃত্রিম উপায়ে তৈরি আফিমের সমধর্মী দ্রব্য যথাÑ পেথিড্রিন, হাইড্রোমরফিন, ডিমেরাল, বেটাপ্রোডাইন ইত্যাদি, কোকা পাতা এবং তা থেকে উদ্ভ‚ত সব দ্রব্য, কোকেন এবং ০.১% এর অধিক কোকেনযুক্ত যে কোনো পদার্থ অথবা কোকেনের যে কোনো ক্ষার, চরস, হাশিশ, গাঁজাগাছ, গাঁজা, ভাংগাছ, ভাং, গাঁজা বা ভাং সহযোগে প্রস্তুত যে কোনো পদার্থ, অ্যালকোহল এবং ০.৫%-এর অধিক অ্যালকোহলযুক্ত যেকোনো পদার্থ, রেক্টিফাইড স্পিরিট এবং তৎসহযোগে যে কোনো ওষুধ বা তরল পদার্থ, বিয়ার, বারবিচুয়েটস, তাড়ি, পচুই, মেথিলেটেড স্পিরিট ইত্যাদি দ্রব্য মাদক হিসেবে পরিচিত। ভারতে তৈরি ফেনসিডিল সিরাপ আমাদের দেশে মাদক হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই সিরাপের লেবেলে কাশির সিরাপ বলে উল্লিখিত আছে। এই সিরাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আফিম থেকে উদ্ভ‚ত কোডিন, এই কারণেই ফেনসিডিল সিরাপ সেবন করলে মাদকতা আসে। তাই ফেনসিডিল সিরাপ মাদক হিসেবে পরিচিত। অ্যালকোহল ব্যতীত অন্য কোনো মাদকদ্রব্যের চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, আমদানি-রফতানি, সরবরাহ, ক্রয়, বিক্রয়, ধারণ, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, প্রয়োগ ও ব্যবহার ওই আইনের ৯ ধারায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওইরূপ উদ্দেশ্যে কোনো প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ গ্রহণ, অর্থ বিনিয়োগ কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পরিচালনা বা তার পৃষ্ঠপোষকতা করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ওষুধ প্রস্তুত, চিকিৎসা বা বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজনে তা করা যাবে এবং সে ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বা তার কাছ থেকে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা এই লাইসেন্স, পারমিট ও পাস বিধি মোতাবেক প্রদান করবেন। অ্যালকোহলের ক্ষেত্রেও একইরূপ বিধিনিষেধ রয়েছে। কোনো ডিস্টিলারি বা ব্রিউয়ারি স্থাপন করতে হলে অথবা ওষুধ তৈরির উপাদান হিসেবে অ্যালকোহল ব্যবহার করতে হলে উল্লিখিত মতে লাইসেন্স নিতে হবে। অ্যালকোহল পান করতে হলেও ওই মতে পারমিট নিতে হবে। মুসলমানদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজনেই শুধু অ্যালকোহল পান করার পারমিট দেয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে অন্যূন সিভিল সার্জন বা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের কোনো সহযোগী অধ্যাপকের ব্যবস্থাপত্রের ভিত্তিতেই এরূপ পারমিট দেয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপত্রে রোগের নাম উল্লেখ করতে হবে এবং ওই রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যালকোহল পান করার আবশ্যকতা সম্পর্কে ওই চিকিৎসক প্রত্যয়নপত্র দেবেন। নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন কারাদন্ডে অথবা পাঁচশত টাকার অধিক জরিমানায় দন্ডিত ব্যক্তি এরূপ লাইসেন্স পাবে না। তবে দন্ডভোগ বা জরিমানা পরিশোধের পর তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লাইসেন্স প্রদানের বিষয় বিবেচনা করা যাবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে কোনো অপরাধের জন্য আদালত কর্তৃক দন্ডিত ব্যক্তি এবং ওই আইনের অধীনে প্রদত্ত লাইসেন্স বা পারমিটের শর্ত ভঙ্গের কারণে যার লাইসেন্স বা পারমিট বাতিল হয়ে গেছে এরূপ ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্স বা পারমিট পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।
বিংশ শতাব্দীর নবম দশকে (১৯৮১ থেকে ১৯৯০ সাল) বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মাদকের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় বিদেশ থেকে আসা মাদক সম্পর্কিত অপরাধের বিচার করা হতো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুসারে। সেখানে শুধু শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরা পথে আমদানিনিষিদ্ধ পণ্য দেশে নিয়ে আসা বা নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধেই আসামির বিচার হতো। জনজীবনে ব্যাপক ক্ষতি সাধনকারী এই মাদকসংক্রান্ত অপরাধ দমনের জন্য ওই আইন পর্যাপ্ত ছিল না। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে ১৯৯০ সানে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণয়ন করা হয়। ১৩৯৬ বঙ্গাব্দের ১৯ পৌষ মোতাবেক ১৯৯০ সানের ২ জানুয়ারি তারিখ থেকে এ আইন কার্যকর হয়। কিন্তু দুই যুগেরও অধিককাল পথপরিক্রমায় মাদকদ্রব্য ব্যাপকভাবে নিযন্ত্রিত হয়নি। এর ব্যবহার এবং প্রসার বেড়েই চলেছে। অভিভাবকরা আজ চিন্তিত তাদের সন্তানদের মাদকাসক্তি নিয়ে। মাদকের হিংস্র ছোবল থেকে সারা জাতি চায় আত্মরক্ষা করতে। আইনের কার্যকর প্রয়োগ হয়নি বলেই আজ মাদক নিয়ে এত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ। মাদক সেবনের কুফল সম্পর্কে মহাসমারোহে আলোচনা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়। বিভিন্ন এনজিও মাদক সেবন নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। মাদক পাচার, বহন ও ব্যবহারের বিভিন্ন শাস্তি রয়েছে। তবু মাদক ব্যবহার কমেনি। ফেনসিডিল, গাজা, হিরোইন, ইয়াবা, প্যাথেডিনের ব্যবসা রমরমা। নারী, পুরুষ উভয় শ্রেণির মধ্যে মাদক সেবন প্রবণতা বাড়ছে। সাধারণ কৌত‚হল থেকে শুরু হয়। পরে আসক্তি তীব্র হয়ে সাধারণ জীবনযাপন বিপন্ন হয়। নিঃসঙ্গতা ও বেকারত্ব থেকেও মাদক সেবনে আসক্তি জন্মে। ডিশ এ্যান্টেনার যুগে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন এদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীকে সমকামী, নেশাগ্রস্ত ও পশুপাখি সহযোগে বাস করার মানসিকতা তৈরি করছে। এগুলোকে ঘিরে পারিবারিকও সামাজিক শান্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘটছে সহিংস ঘটনা। বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি।
মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমরা নিস্তার চাই। আগে মাদকের অনুপ্রবেশ রোধ করতে হবে। সীমান্ত পথে কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে শুরু করা যেতে পারে। শিকড় পর্যায় থেকে সমাজের সব স্তরে এর ভয়াবহতা তুলে ধরে ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন। শুধু বিশেষ দিবসে নয়, সারা বছর ধরেই এর কুফল জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। মাদক প্রতিরোধে প্রশাসনে প্রয়োজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি। সতর্ক ও সচেষ্ট থাকতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও। এ কথা অনস্বিকার্য যে, মাদকদ্রব্যের ব্যবসা ও ব্যবহার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। মাদকের ব্যবহার থাকতে হলে এর সরবরাহও থাকতে হয়। সরবরাহের প্রায় পুরোটাই চোরাচালানের মাধ্যমে আসে। বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের একটি রুট, সে কথা গণমাধ্যমে বহুবার উল্লিখিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও এ ব্যাপারে অবহিত। তাহলে এসব রুট বন্ধ হয় না কেন? মাদক সমস্যার সমাধানে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সব ধরনের ব্যবস্থাই নেয়া দরকার। জনসচেতনতার বিকল্প নেই। জনসচেতনতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠান ভূমিকা পালন করতে পারে।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন