শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের ইন্তেকাল

জাগপা সভাপতি ও মরহুম শফিউল আলম প্রধানের সহধর্মিণী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধানের সহধর্মিনী ও সাবেক ছাত্রলীগ এই নেত্রী গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি কন্যা ব্যরিস্টার তাসমিয়া প্রধান ও ছেলে ইঞ্জিনিয়ার আল রাশেদ প্রধানসহ অসংখ্য রাজনীতিক কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ি ও গুণগ্রাহি রেখে গেছেন। মরহুমার নামাজে জানাযা গতকাল বাদ মাগরিব মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড বায়তুস সালাম জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযা শেষে মরহুম শফিউল আলম প্রধানের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের ইন্তেকালের সংবাদে মরহুমার বাসভবনে ছুটে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদুর রহমান তামান্নাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
তাঁর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জাগপার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মোজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, নতুনধারা বাংলাদেশ- এনডিবি চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সংগঠন। নেতৃবৃন্দ মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
কর্মময় জীবনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন শেষে লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপনা করেন তিনি। ২০১৩ সালে চাকুরী থেকে অবসরে যান। ২০১৫ সালে পবিত্র হজ্জ পালন করেন। অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, ১৯৭১ ও ৭২ সালে বগুড়া জেলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ দুর্নীতি বিরোধী সংগ্রামে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল জাগপা প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের অন্যতম নেত্রী। তিনি ১৯৮১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা সংগ্রামের অগ্রসৈনিক ও ১৯৯৩ সালের ৪ঠা মার্চ বেরুবাড়ির আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তাঁর অদম্য সাহসী সংগ্রামের কথা বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। এছাড়াও ২০১৭ সালের ২১ মে মরহুম শফিউল আলম প্রধানের ইন্তেকারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ২৮ নভেম্বর থেকে অদ্যাবধি জাগপার সভাপতি ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন