দাঁত এটি আয়তনে খুব ছোট কিন্তু জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গুরুত্বের বিচারে। আমরা অনেকেই দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করি কিন্তু দাঁত ব্রাশ করার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ভুলের কারণেই ক্ষতি হচ্ছে আমাদের মূল্যবান দাঁতের। আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করলে এর আয়ু বহু বছর বাড়ে।
১। সবসময় উন্নতমানের টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। সস্তার ১০-১৫ টাকা দামের ব্রাশ কিনে ভাবছেন টাকা বাঁচিয়ে ফেললেন ! কিন্তু দাঁতের ক্ষতির কারণে যে আপনাকে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হবে সে কথা কি ভেবেছেন? এই ব্রাশগুলোর ব্রিসল অনেক শক্ত হয়ে থাকে যা দাঁতের উপরের এনামেলের ক্ষতি করে। তাই দাম দিয়ে হলেও একটু নামী ব্র্যান্ডের ভাল নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করুন ।
২। ব্রাশ করার সময় দাঁতের উপর খুব বেশি চাপ দেবেন না। অনেকে মনে করে জোরে জোরে চাপ দিয়ে ব্রাশ করলে তবেই দাঁতের ময়লা দ্রুত পরিষ্কার হবে । আর এতেই ক্ষতিটা হয় বেশি। খুব বেশি জোরে চাপ দিয়ে ব্রাশ করতে গেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে ।
৩। অতিরিক্ত সচেতন মানুষ দাঁতের সুরক্ষায় খাওয়ার পর পরই দাঁত ব্রাশ করে ফেলেন যা উল্টো দাঁতের ক্ষতিই করে বেশি । খাওয়ার পর পরই বিশেষ করে অ্যাসিডিক খাবার ও ফলমূল খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায় । খাওয়ার পরপর কুলকুচি করে, খাওয়ার অন্তত ৩০ থেকে ১ ঘণ্টা পর দাঁত ব্রাশ করাটাই সঠিক পদ্ধতি ।
৪। অনেকেরই ধারণা অনেকটা সময় ধরে ব্রাশ করলে ভাল করে দাঁত পরিষ্কার হবেই কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা । প্রতিটা জিনিসেরই একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে । ২ মিনিটের বেশি দাঁত ব্রাশ করা দাঁতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ।
৫। দাঁতের সৌন্দর্যের জন্য ৪৫ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল করে ব্রাশ করুন। মুখের ভিতরের সবকোনায় ব্রাশ পৌঁছান। ব্রাশকে উল্লম্বভাবে ব্যবহার করুন। সোজাসুজি ভাবে ব্রাশ করলে আপনার দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাদ্যের ছোট ছোট কণা আরও বেশি করে জমে গিয়ে আপনাকে বিপাকে ফেলতে পারে । সুতরাং দাঁতের আয়ু বাড়াতে সতর্ক হয়ে ব্রাশ করুন সঠিক পদ্ধতি মেনেই ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন