মিয়ানমারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদেধ গণহত্যা চলমান রয়েছে এবং সরকার ক্রমাগত কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অনাগ্রহের কথা জানান দিচ্ছে। বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিফিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসমান জানান, গত বছর রাখাইনে সেনা অভিযান জোরদার হওয়ার পর সেখানে থেকে যাওয়া আড়াই থেকে চার লাখ রোহিঙ্গা এখনও নিপীড়নমূলক বিধিনিষেধ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, এখনও নিপীড়ন চলছে। এই গণহত্যা এখনও চলছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার নিয়ে দারুসমানের ব্রিফিংয়ে ১৫ সদস্যের মধ্যে ৬টি দেশ আপত্তি জানিয়েছে। আপত্তি জানানো দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন ও রাশিয়া। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের যে মানবাধিকার বিপর্যয় ঘটেছে তাতে আজীবনের জন্য যদি না হয় তবুও কয়েক প্রজন্মকে ভুগতে হবে। তিনি মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান।
দারুসমান বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যার লাইসেন্স নয়। রোহিঙ্গা, মিয়ানমারের জনগণসহ সারাবিশ্বের মানুষ চাইছে আপনাদের (নিরাপত্তা পরিষদ) পদক্ষেপ।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের নিপীড়নের কথা অস্বীকার করেছে। দেশটি দাবি করে, সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধ ন্যায্য সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির দূত জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের প্রস্তাবটি কখনোই মেনে নেবে না মিয়ানমার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন