সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে সরানোর জেরে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। শুক্রবার সভাপতি রাহুল গান্ধী নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে সিবিআই কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে কংগ্রেস। এ সময় প্রতীকী গ্রেফতার বরণ করেন তিনি। শুধু দিল্লিই নয়, কংগ্রেস নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন চণ্ডীগড়, লখনৌ-সহ উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য শহরগুলিতেও। চণ্ডীগড়ে মিছিলের জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
শুক্রবার দিল্লির দায়াল সিং কলেজ থেকে লোধি রোডে সিবিআই কার্যালয়ে মিছিল করে যায় কংগ্রেস। সেখানে আগে থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। তাদের সাথে আম আদমি পার্টি, সিপিএম, সিপিআই ও লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতাকর্মীরাও এই মিছিলে যোগ দেন। রাফাল বিমানের পোস্টার নিয়ে সমাবেশের একেবারে সামনেই ছিলেন রাহুল। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত, সিপিআই-এর ডি রাজা, এলজেডি শরদ যাদব এবং তৃণমূল নেতা নাদিমুল হক। এসময় সেখান থেকে বেশ কিছু কংগ্রেস সমর্থককে আটক করে পুলিশ। এর বিরুদ্ধে লোধি রোড থানায় গিয়ে প্রতীকী গ্রেফতার বরণ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতির মতোই প্রতীকী গ্রেফতার বরণ করেন অশোক গেহলট, প্রমোদ তিওয়ারি, আহমেদ প্যাটেলের মতো প্রবীণ নেতা
এদিন বিক্ষোভ সমাবেশে রাহুল বলেন, দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তা সে সিবিআই হোক বা নির্বাচন কমিশন। এর জন্যই আমরা বলি দেশের চৌকিদার চোর। উনি অনিল আম্বানির পকেটে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস চৌকিদারকে চুরি করতে দেব না। সব বিরোধীরাও তা করতে দেবে না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনকে জানিয়ে দেয় আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা ও উপ-প্রধান রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে। এরা দু’জনেই একে অন্যের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তাও আবার একই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। ওই অভিযোগ ওঠার পরই তাদেরকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র।
এদিকে অলোক বর্মার অনুপস্থিতিতে অন্তবর্তিকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এন নাগেশ্বর রাওকে। তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, নাগেশ্বর কোনও বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। শুধুমাত্র রুটিন কাজ করতে পারবেন। আগামী ১২ দিন তিনি যেসব সিদ্ধান্ত নেবেন তার তালিকা আদালতে দিতে হবে। সূত্র: টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন