নেত্রকোনার দূর্গাপুরের শুকনাকুড়ি থেকে ৯ বছরের শিশু হৃদয়কে অপহরণের ৭ মাস পরও অপহৃত শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করতে না পারায় পরিবারে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে প্রকাশ, দূর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের শহীদ মিয়ার ৯ বছরের সন্তান হৃদয় মিয়া চলতি বছরের ২৮ মার্চ সকালে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘর থেকে খেলতে বের হয়। সন্ধ্যায়ও সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন আশপাশের এলাকা ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিশু হৃদয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে তার পিতা শহীদ মিয়া ১ এপ্রিল দূর্গাপুর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তাদের বাড়ীতে প্রায়শই আসা যাওয়া করতো একই গ্রামের মৃত পশর আলীর পুত্র আব্দুল জলিল তার হৃদয়কে নতুন জামা কিনে দেবার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করেছে। এ ব্যাপারে গ্রাম্য সালিস দরবারে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করলেও আজ না কাল করে করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।
দীর্ঘদিন পুত্রকে না পেয়ে অসহায় পিতা শহীদ মিয়া নিরোপায় হয়ে অবশেষে আব্দুল জলিল, পারভীন আক্তার, শান্তনা আক্তার ও ছালেমা খাতুনকে আসামী করে গত ১৮ জুন নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অপহৃত শিশু হৃদয়কে যতদ্রুত সম্ভব উদ্ধার এবং অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য দূর্গাপুর থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
কন্তু অদ্যাবধি পর্যন্ত অপহৃত শিশু হৃদয় উদ্ধার না হওয়ায় শিশুটির পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে। সেই সাথে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তাদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি থানায় নতুন এসেছি। আমি মামলার খোঁজ খবর নিয়ে অপহৃত শিশু হৃদয়কে উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন