চরফ্যাসন উপজেলার নবগঠিত আহম্মদপুর গ্রামের (সাবেক নুরাবাদ ৫ নম্বর ওয়ার্ড) সুফিয়া বেগম (২৫) স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আ. মালেক যৌতুকের জন্যে তার স্ত্রীকে দুই সন্তানের জননী সুফিয়া বেগমকে বেধড়ক প্রহার করলে শুক্রবার সন্ধ্যায় চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরেজমিনে গতকাল শনিবার সকালে হাসপাতাল বেডে গেলে সুুফিয়া কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, তার বাবা-মা কেই নেই। তিনি খুবই অসহায়। তার দিনমজুর দু’ভাই আছে সুফিয়ার দেখাশোনা করেন। স্বামী আ. মালেককে ব্যবসা করার জন্য বিয়ের পর থেকে এই পর্যন্ত একলাখ ৭০ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু তিনি ওই টাকায় সন্তুষ্টি হতে পারেনি। পুনঃরায় এনজিও থেকে নেয়ার ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্যে স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করেন। টাকা দিতে না পারায় ইতোপূর্বে ১০-১২ বার শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। সমস্ত শরীর ব্যথায় হাসপাতালের বেডে চিৎকার দিচ্ছেন। তিনি সকলের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছেন। তার ছোট ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা বোনের সুখের জন্যে বিয়ের সময় ৫০ হাজার পরবর্তীতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিনমজুর হিসেবে খেটে অনেক কষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তার পরও স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বোনের সন্তান সিজার এবং অন্যান্য বিষয় খরচ বাদই দিলাম। কারণে অকারণে পিটিয়ে থাকে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন