ফিলিস্তিনের অন্তত ৮০টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আকস্মিক ওমান সফরের মাঝেই শনিবার এ হামরা চালানো হয়। হামলার অযুহাত হিসেবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, শুক্রবার রাতে দেশটির অভ্যন্তরে অন্তত ৩০টি রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সংগঠন হামাস। এর জবাবে হামাসের নিরাপত্তা সদর দফতরসহ বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে তারা এই হামলা পরিচালনা করেছে।
এর আগে শুক্রবার গাজায় ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ কর্মসূচিতে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এ নিয়ে এবছরে এই কর্মসূচিতে নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, আঘাত হানার আগে প্রায় ১০টি রকেট প্রতিহত করতে সক্ষম হয় তাদের আয়রন ডোম রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আর দুটি ভুল করে গাজাতেই বিস্ফোরিত হয়। বাকিগুলোর বিস্ফোরণ হয় খালি জায়গাতে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল গাদি আইসেনকোট শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেছেন। এসব বিমান হামলায় কতজন হতাহত হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
রকেট হামলার কথা স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের আরেকটি সংগঠন ইসলামিক জিহাদ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাধারণত তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধে বিশ্বাস করে কিন্তু ইসরায়েলি দখলদারদের নিরীহ মানুষ হত্যা ও রক্তপাত চালানোর মধ্যে তারা নিশ্চুপ বসে থাকতে পারে না।
হামাসের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব রকেট হামলা চালানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ইসরায়েলের তরফ থেকে তাদেরকেই দায়ী করা হয়েছে। ২০০৭ সালে এক বৈধ নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে গাজার শাসন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। গত এক দশকে ইসরায়েলের সঙ্গে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন