কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়ে ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম। হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার ২০ দিন পর গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, জামিনের কাগজপত্র না আসায় মুক্তি পেতে দেরি হয়েছে। সোমবার কাগজপত্র আসার পর তা যাচাই-বাছাই করে গতকাল তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
কারাগার থেকে বের হয়ে মাইদুল ইসলাম বলেন, মুক্তি পেয়ে আমি সাময়িকভাবে খুশি। কিন্তু পরিপূর্ণ আনন্দিত নই। মতপ্রকাশের জন্য এখনো অনেকে কারাগারে আছেন। মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা, সেক্যুলারিজম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হয়। তাহলে মুক্তচিন্তার প্রকাশে কেউ বাধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়। প্রিয় ক্যাম্পাসে ফেরার আকুতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ক্লাসে ফিরতে চাই। দীর্ঘদিন ক্লাস নিতে পারি না। আবার ক্লাস নিতে পারব সেজন্যই পুলকিত।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুলাই মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাটহাজারি থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখারুল ইসলাম। কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ায় সমাজতত্ত¡ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আলী আর রাজীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। পরে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চাকরিচ্যুতির আবেদন করা হলে মাইদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
হাইকোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের জামিন শেষে ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মাইদুল ইসলাম।
আদালত তা নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর ৯ অক্টোবর উচ্চ আদালত শিক্ষক মাইদুলকে ছয় মাসের জামিন দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন