সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রামগতি-কমলনগরে আবারো ভাঙছে মেঘনা

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় আবারো মেঘনার ভাঙন তীব্র হচ্ছে। ভাঙনের তীব্রতা এত বেশি যে, ঘরবাড়ি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিতেও পারছেনা। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার প্রায় দেড়শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী লুধুয়া বাজার, সাহেবেরহাট, তালতলিবাজার, মাতবরহাট ও কাদির পন্ডিতের বাজার, চরফলকন উচ্চ বিদ্যালয়, কাদির পন্ডিতেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, মাতবরহাট আলিম মাদরাসাসহ ছোট ছোট অসংখ্য স্কুল-কলেজ মসজিদ-মাদরাসাসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

মেঘনা নদীরপাড় থেকে উপজেলা পরিষদ ও থানা মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে। সরকারি হিসাব মতে, মেঘনার ভাঙনে সাহেবেরহাট ইউনিয়নের আটটি ওয়ার্ড, কালকিনি ইউনিয়নের পাঁচটি ওয়ার্ড, পাঠোওয়ারীরহাট ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ও চরমার্টিন ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ড গত বছরের মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে, অনেকেই লক্ষীপুর-রামগতি সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। সহায় সম্বল হারিয়ে তারা সবাই সর্বস্বান্ত। জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট মেঘনার ভাঙন রোধে রামগতি-কমলনগরের জন্য ১৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে রামগতি অংশে সেনাবাহিনী দিয়ে চার কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হলেও কমলনগর অংশে এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হয়। তাতে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়ম কমিশন ভাগাভাগির অভিযোগ উঠে স্থানীয় এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। কমলনগরের অংশে বাঁধ নির্মাণের ১৫ দিনের মাথায় ভেঙে যায়। এতে মেঘনার ভাঙনের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। এক কিলোমিটার বাঁধের নির্মাণ কাজ চললেও বাঁধের দক্ষিণ-উত্তরের প্রায় ১৭ কিলোমিটার জনপদ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয়দের মতে, বর্তমানে কমলনগর উপজেলা পরিষদ ও কমলনগর থানা, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হাজিরহাট ও চললরেঞ্চ বাজার থেকে নদীর দূরত্ব মাত্র দেড় কিলোমিটার। কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী বর্ষার আগেই কমলনগর চলে যাবে মেঘনার পেটে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ হোসেন জানান, তীব্র বেগে আরো নদী ভাঙছে এ খবর আমি এমপি সাহেবকে জানিয়েছি এবং বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। স্থানীয় এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইউএনও আমার সাথে আলোচনা করেছে আমি ভাঙনকবলিত এলাকায় যাবো। নিজে দেখব এবং টেলিফোনে মন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম দু-একদিনের মধ্যে মন্ত্রীর সাথে দেখা করব। আশা করি মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন