ময়মনসিংহে পুলিশের দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় দুই প্রবাসীকে আসামী করা হয়েছে। এমন দাবি স্বজনদের। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রায়ের বাজার এলাকায় সরকার বিরোধী উশৃঙ্খল নেতাকর্মী ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশের উপর হামলা করে। পরে এ ঘটনায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়। আসামীদের মধ্যে ১৬ নং আসামী বিঞ্চুপুর গ্রামের মরহুম আব্বাছ আলীর প্রবাসী রিপন মিয়া। একই মামলার ৩২ নং আসামী ইসলামী ঐক্যজোটের উপজেলা সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান। সাইদুর রহমান দাবি করেন, মামলার ঘটনাটি বানোয়াট। কিন্তু পুলিশ গায়েবী মামলা আমাকে আসামী করেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে কাতার প্রবাসী রিপন মিয়া মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, বিদেশ এসে শুনেছি আমার নামে মামলা হয়েছে। অথচ মামলার ঘটনার সাত দিন আগে গত ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার কাতার এয়ারলাইন্সে শ্রমিক ভিসায় ঢাকা ত্যাগ করেছি। ওই মামলার প্রধান স্বাক্ষী গোপাল মিয়া জানান, পুলিশ আমাকে স্বাক্ষী করেছে এখন শুনলাম। কিন্তু এ ধরনের কোন ঘটনা আমার চোখে পড়েনি।
অপর দিকে গত শনিবার নান্দাইল মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেকটি এজাহার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার চর কমরভাঙ্গা গ্রামের মরহুম নূরুল ইসলামের প্রবাসী পুত্র তোফাজ্জল হোসেন মন্ডলকে ১১নং আসামী করা হয়েছে। তোফাজ্জলের ভাই ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন জানান, ২০০১ সালের পহেলা জুন তোফাজ্জল কর্মজীবী ভিসায় সৌদি আরব যান। প্রায় ১৭ বছর যাবত সে সৌদি প্রবাসী। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি একবার দেশে এসেছিলেন। অথচ পুলিশ গায়েবী মামলায় তাকে আসামী করেছে।
এসআই খাইরুল ইসলাম বাদি হয়ে পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন