কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতে ৪র্থ দফায় ৭ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ১৩টি ইউপি নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে গ্রামগঞ্জে। কিন্তু সেই উৎসবের আমেজে ভাটা পড়ছে নির্বাচনের দিন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আগমনের আগাম বার্তা শুনে। আর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটাররাও। জানা গেছে, উপজেলার কয়ারিয়া, সাহেবরামপুর, রমজানপুর, গোপালপুর, নবগ্রাম, বাঁশগাড়ী, লক্ষীপুর ও আলীনগর ইউনিয়ন শরীয়তপুর, বরিশালের গৌরনদী, মুলাদী, আগৈলঝাড়া ও মাদারীপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর কালকিনিতে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়া কিছু চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী তাদের ভাড়ায় আনবেন বলে গোপনে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এতে অবাদ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীরা। কয়ারিয়া এলাকার চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী কামরুল আহসান নুর মোহাম্মদ মোল্লা, সাহেবরামপুর এলাকার আসাদুজ্জামান জামাল মোল্লা, আলীনগর এলাকার হাফিজুর রহমান মিলন সরদার, রমজানপুর এলাকার মেম্বার প্রার্থী রিপন বেপারী, সুলতান বেপারী সহ ২০/২৫ জন প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী আনার পায়তারা চালাচ্ছে। এতে একদিকে আমরা যেমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। অপরদিকে নির্বাচনের দিন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারলে খুন খারাবি করবে বলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। তবে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যালটের সাথে সাথে বুলেটও যাবে। আর কোন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হবে এবং ৬ থেকে ৭ গুণ বেশি প্রশাসনিক শক্তি নিয়ে পরে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন