পানিবদ্ধতা নিরসনে নগরীর বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন (সংশোধিত) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে একটি সর্বাধুনিক কসাইখানা নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সভায় এ প্রকল্প দু’টি অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহাও উপস্থিত ছিলেন। নতুন খাল খনন প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় এক হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং কসাইখানার জন্য ৮০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের জুলাই থেকে আগামী ২০২০ সনের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
খাল খনন প্রকল্প ২০১৪ সালের ২৪ জুন একনেকে অনুমোদন পেয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ এবং অর্থ ছাড় না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। মেয়াদ চলে যাওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি সংশোধিত হয়ে এক হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়। চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে একনেকে অনুমোদনের সময় প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকা। পরবর্তীতে ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার টাকায় ২০১৫ সালে ১৩ আগষ্ট প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আগামীতেও বর্তমান সরকার নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে আরো বড় প্রকল্প অনুমোদন দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মেয়র বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকার পানিবদ্ধতা নিরসন হবে এবং নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি হওয়ার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন