শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বীর প্রতীক তারামন বিবি সঙ্কটাপন্ন

ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন

ময়মনসিংহ থেকে মো. শামসুল আলম খান | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জাতির বীর কন্যা, মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি তারামন বিবি বীর প্রতীক। ফুসফুস, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল সমস্যায় ভুগতে থাকা তারামন বিবিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে রংপুরের কুড়িগ্রামের রাজিববপুর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় ময়মনসিংহ সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল)।
প্রায় ঘন্টা তিনেক এখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর অকুতোভয় এই নারী মুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
তারামন বিবি বীর প্রতীকের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ছেলে আবু তাহের বিকেল ৫ টার দিকে জানান, আমার মায়ের শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যা অনেক আগে থেকেই। এখন রক্তচাপ একেবারে কমে গেছে।

এর সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে ডায়াবেটিস সমস্যা। ফলে কোন কথাই বলতে পারছেন না মা। ফলে মুখে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে মাকে।’ আবু তাহের আরো জানান, আমার মায়ের একটি ফুসফুস অনেক আগে থেকেই নষ্ট। আরেকটিও প্রায় অকার্যকর। আর শ্বাসকষ্টের সমস্যা তো আছেই। মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে যায়। আবার কোন সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে।’ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মা’কে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়, বলেন আবু তাহের।
এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের দিকে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন পাকিদের সঙ্গে লড়াই করে বাঙালি জাতিকে লাল-সবুজের পতাকা এনে দেওয়া তারামন বিবি। বাঙালির জাতির গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জনের অন্যতম দিকপাল হিসেবেও বিবেচনা করা হয় তাকে।
২০১৪ সালের দিকে তারামন বিবি’র ফুসফুসের সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু উন্নতি হয়নি অবস্থার। এরপর ২০১৬ সালের ওই সময়ে রংপুর থেকে সরাসরি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে রংপুরের কুড়িগ্রামের রাজিবপুর কাচারিপাড়া’র বাড়িতে ফিরলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলেনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে পাকিদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে লড়াই করা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারামন বিবি’র ছেলে আবু তাহের জানান, বছরের বেশিরভাগ সময়েই মাকে হাসপাতালে রাখতে হয়। ময়মনসিংহে আনার পর ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানো হলে আমার মা সুস্থ হয়ে উঠতো। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন