মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

হারিয়ে যাচ্ছে ঠান্ডাছড়ির পিকনিক স্পট

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে আসলাম পারভেজ | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যসমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক অঙ্গন উৎসব উৎসাহ-উদ্দীপনা আনন্দ অকৃত্রিম জীবনাচার আইনশৃঙ্খলাসহ নানা দিক দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের সাথে লাগাওয়া হাটহাজারীকে গড়ে তুলেছে সমৃদ্ধ এক উপজেলা। বিশ্বের আধুনিক দেশের মানুষ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে উন্নত জীবন মানের সাথে বেশ পরিচিত। বারো আউলিয়ার পূর্ণভ‚মি এই চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাটি বাংলাদেশের অন্যতম ও জন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। দেশের দুই পার্বত্য জেলার পর্যটন এলাকা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি যেতে হলে এই উপজেলার উপর দিয়ে যেতে হয়। অথচ এই উপজেলায় পাহাড়, টিলা, নদী গড়ে উঠেছে। রয়েছে অসংখ্য পিকনিক স্পট। কিন্তু এসব এলাকায় শিশুদের বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই এলাকায় সরকারি এমন জায়গা পড়ে রয়েছে যেখানে পূর্ণাঙ্গ পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা যায়।

কিন্তু সরকারি যথাযথ উদ্যোগের অভাবে সম্ভাবনাময়ী হাটহাজারী চৌধুরীহাটের পশ্চিমে ঠান্ডাছড়ি নামক এলাকায় অযত্ম-অবহেলায় পড়ে আছে একটি বড় মাপের পিকনিক স্পট। ২০১০ সালের প্রথম শুরুতে যা উন্নয়ন হয়েছে পরবর্তীতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই পিকনিক স্পটটিতে। হাটহাজারী উপজেলার আওতাধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর একক প্রচেষ্টায় প্রায় ১৫ একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয় ঠান্ডাছড়ির পিকনিক স্পটটি। এই স্পটে একটি মিনি লেক করা হয়েছে। আম-কাঁঠালের বাগানসহ নানা ফলফলাদির বাগান করে সাজিয়ে তুলেছে। এই শিশুদের আনন্দ বিকাশের জন্য নির্মিত লেকের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্যাডেল বোট নামানো হয়। ২০১০ সালের ২৪শে এপ্রিল হাটহাজারী ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় টান্ডাছড়ি নামক এই স্পটটি নির্মাণ করা হয়।

এই স্পটটিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা হল চৌধুরীহাট থেকে পশ্চিমে সিএনজি যোগে ঠান্ডাছড়ি পিকনিক স্পটে যাওয়া যায়। তবে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব সুবিধা তবে ওই এলাকার রাস্তায় সড়কবাতি জরুরি। পিকনিক স্পটটির প্রতিষ্ঠাতা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর পর এই স্পটটি যেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে শুরু করে। এই এলাকায় দর্শণার্থীদের সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৩০ ফুট উঁচু টিলার উপর কাঁঠাল বাগানে নির্মাণ করা হয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ।

২০১০ সালে ঠান্ডাছড়ি পার্কটি নির্মাণ করার পর দুই এক বছর ধরে জেলার ভিবিন্ন স্থান থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসত ভ্রমণপিপাসুরা। নিরাপত্তাহীনতা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা পার্কের ভেতরে মিনি সড়কগুলো অব্যস্থাপনার কারণে লাভবান হতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই ঠান্ডাছড়ির পার্কটির দিকে সুনজর দেয়, তা হলে সরকার হবে লাভবান পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও আনন্দ ভোগ করতে পারবে। এখানে বেশ কিছু বন্যপ্রাণী এনে বিভিন্ন স্পটে রাখা হয়, তাহলে আরো জমজমাট হয়ে উঠবে এই পিকনিক স্পট। বাংলাদেশের ভৌগোলিকভাবে আয়তনে ক্ষুদ্র দেশ হলেও প্রাকৃতিক, সাস্কৃতিক, ইতিহাস ও ঐতিহ্যগত সরঞ্জামের যেন অভাব ছিল না এই হাটহাজারী। সাস্কৃতিক দিক থেকেও রয়েেেছ সুর্দীঘ ঐতিহ্য। তবে সে সব ঐতিহ্য পর্যটকদের সামনে যথাযথ ভাবে তুলে ধরার প্রয়োজনীয় সাপোর্ট ও যোগ্যতার অভাব এই শিল্পের কাক্সিক্ষত বিকাশ ঘটেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন