দূষণের কবল থেকে গুলশান লেককে রক্ষা করতে ১০ দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে গুলশান সোসাইটি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গুলশান সোসাইটির সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী গতকাল শনিবার গুলশান লেকের নিকেতন এলাকা থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। এ উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। গুলশান অ্যাভিনিউতে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা গুলশান লেক অবৈধ দখল, ময়লা বর্জ্য নিক্ষেপের প্রতিবাদ জানান। তারা লেকে স্যুয়ারেজ লাইন সংযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সংযোগগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে লেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সূচনা হয়। গুলশান সোসাইটির সদস্যরা ছাড়া গুলশানের বাসিন্দারা এবং জুম বাংলাদেশের দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক লেকের পানিতে নেমে বর্জ্য, ময়লা অপসারণ অভিযানে অংশ নেন। এ সময় তারা লেকপাড়ে অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করেন।
গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট শাখাওয়াত আবু খায়ের মোহাম্মদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পরে লেক স্থায়ীভাবে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব গুলশানবাসীর। এলাকাবাসীকে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সমাবেশে গুলশান সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ বলেন, সমস্যার ব্যাপারে শুধু অভিযোগে বিশ্বাসী নয়, নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানে আগ্রহী গুলশান সোসাইটি। এরই অংশ হিসেবে গুলশান লেককে রক্ষা করতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হলো। রাজউকের গুলশান বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি আমিনুর রহমান সুমন বলেন, এই প্রথম আমাদের দেশে লেক ব্যবহারকারী এবং সরকার যুগপতভাবে পরিবেশ রক্ষায় লেক সংরক্ষণে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।
পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গুলশান সোসাইটি লেক কমিটির প্রধান ইভা রহমান, গুলশান সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এম এ হাসেম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহিন খান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন