পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার সুষ্ঠুৃভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষসহ শহরের ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ৯২০টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ২৬০ জন। এই হিসেবে প্রতি আসনের জন্য গড়ে ৩৬ জন পরীক্ষার্থী লড়াই করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে। এই স্টাফ রিপোর্টার দ্বিতীয় শিফটে বিকালে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের আশপাশ ঘুরে দেখেছেন। মোবাইলে আসা প্রশ্ন কেন্দ্র থেকে দূরে বেশ কয়েকজন জটলা করে মোবাইলে উত্তর বলে দিতে লক্ষ্য করা যায়। এরপর ঐ স্থানে পুলিশের একটি ভ্রাম্যমাণ জীপ এসে থামলে জটলা গুটিয়ে অপরিচিত যুবকরা সরে পড়েন। ধারণা করা যায়, ভেতরে সুকৌশলে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস কোন না কোন পরীক্ষার্থীর কাছে ছিল, যেটি হয়তো কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি।
এ ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ১১টায় শেষ হয় এবং বি ইউনিটের পরীক্ষা বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ৪টায় শেষ হয়েছে। তবে এ ইউনিটের স্থাপত্য বিভাগের জন্য আবেদনকারীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট (সকাল ১১.১৫ মিনিট থেকে ১১.৪৫ মিনিট পর্যন্ত) ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
দুইটি ইউনিটের মধ্যে অ ইউনিটে আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ১৯০ জন ও ই ইউনিটে আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭০ জন।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গৌতম কুমার দাস বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অংশগ্রহণকারী সকল পরীক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, পাবনাবাসী, প্রশাসন, সাংবাদিক, সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ভর্তি পরীক্ষা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরীক্ষা গ্রহণের সময় কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত: বৃহস্পতিবার ১৫ নভেম্বর গভীর রাতে ভর্তি পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িত দুইজনকে পুলিশ শহরের রাধানগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন