ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা
কোন অনুমোদন ছাড়া এবং ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিপ্ট (ডিসিআর)-এর মাধ্যমে মাত্র এক বছরের জন্য বন্দোবস্ত পাওয়া সরকারি জমিতে রাতারাতি পাকা ঘর নির্মাণের চেষ্টা বাতিল করে দিয়েছেন শৈলকুপার সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাছাড়া বন্দবস্ত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ওই জমিতে পাকা স্থাপনা তৈরির জন্য কোন বৈধ দলিলাদি আছে কি না, তাও দেখাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। শৈলকুপার ফাজেলপুর গ্রামবাসী ও সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিজুলিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ ওরফে নাটার ছেলে সাউদ শৈলকুপা মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও মনোহরপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের সামনের সরকারি জমিতে প্রথমে ব্যবসা করার জন্য টিন দিয়ে ঘিরে ফেলেন। কয়েকদিন পর সেখানে কাঠ জড় করে ব্যবসাও শুরু করেন। হঠাৎ করেই এক বছরের জন্য বন্দোবস্ত নেয়া জমিতে পাকা স্থাপনা তৈরির জন্য ইট, বালি ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী জড় করেন। এলাকাবাসী বিষয়টি শৈলকুপার সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে অবহিত করলে তিনি একজন ভূমি কর্মকর্তাকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। শৈলকুপার সহকারী কমিশনার ভূমি সুসি মজুমদারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, ডিসিআরের জমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এলাকার দরিদ্র মানুষদের মধ্যে এক বছরের জন্য নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বন্দোবস্ত দেয়া হয়। বন্দোবস্তপ্রাপ্ত এলাকাবাসী নিয়ম মেনে কর ও ফিস প্রদান করে ওই জনি ভোগদখল করলেও জমির আকার-আকৃতি ও প্রকৃতি পরিবর্তন করতে পারেন না। সে কারণে খবর বা অভিযোগ পাবার সাথে সাথেই তিনি নির্মানকাজ বন্ধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন