বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ত্রিশালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা
ত্রিশালের ধানীখোলা ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখলের মহোৎসব শুরু হয়েছে। হাসপাতালটির ভবন বাদে গেটসহ বাকি সবটুকু জমি দখল করে স্থানীয় কয়েকজন লোক ব্যবসা পতিষ্ঠান, দোকানপাট ও বাসাবাড়ি স্থাপন করেছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের লোকজনও নীরব ভূমিকা পালন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার ধানীখোলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৭৭ শতাংশ জমির মধ্যে ৩-৪ শতাংশ জমির ওপর হাসপাতাল ভবন নির্মিত। বাকি সবটুকু জমি অবৈধভাবে ভোগদখল করে নিয়েছে স্থানীয় কতিপয় লোক। স্থানীয় শহীদুল ইসলাম ও তার তিন ভাই মহীদুল, নুরু ও রবি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের জমিতে একটি ব্যবসায় দোকান ও হাসপাতালের প্রবেশ পথের দুই পাশে পিলার এবং স্যানিটারি সরঞ্জামের দোকান স্থাপন করে জায়গা দখল করে নিয়েছে। আরেক দখলকারী ইসমাইল হোসেন হাসপাতালের (৫৪) শতাংশ জমির ওপর দোকানপাট ও বাসাবাড়ি স্থাপন করে দখলে রেখেছেন। এ ব্যাপারে দখলদার ইসমাইল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি আমার পৈতৃক সম্পদ। হাসপাতালের একপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে বিভিন্ন দোকানপাট, বসতবাড়ি ও আরেকপাশে ময়লার স্তূপ এবং কলা বাগান। স্থানীয় এলাকাবাসী মোঃ বাবুল মিয়া জানান, হাসপাতালের জমিগুলো বিভিন্নভাবে দখল করে নিয়েছে এলাকার কিছু লোক। স্থানীয় জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর না থাকায় জমি দখল করার সুযোগ পেয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা। হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আসছে এমএলএস পদে জিয়াউল হক। তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আসছি। হাসপাতালে ৭৭ শতাংশ জমির মধ্যে আমাদের ভবনের ৩ শতাংশ জমি বাদে বাকি সবটুকু জমি একের পর এক দখল করে নিয়েছে দখলদাররা। দখলকৃত জমি নিয়ে হাসপাতাল ও দখলদারদের মাঝে মামলা চলছে। বিআরএস মাঠ পর্চা হাসপাতালের নামে রেকর্ড হয়ে এসেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুল্লাহ আছাদ জানান, আমিও শুনে আসছি হাসপাতালের জমি বেদখল হয়ে আছে। জনস্বার্থে হাসপাতালের জমি উদ্ধার করা প্রয়োজন। এলাকাবাসীর সাথে দাবি জানাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের জমি দ্রুত দখলমুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান জানান, আমি ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জোগদানের পূর্বেই ধানীখোলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গাগুলো বেদখল হয়ে পড়েছে। সীমানা প্রাচীর থাকলে হয়তো এভাবে জমি বেদখল হতো না। তবে বিষয়টি যেহেতু মামলার পর্যায়ে রয়েছে এখন আমাদেরকে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন