আগামী এক বছরের জন্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমটিতে এ খবর প্রকাশের পর বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ হলে তারা জানিয়েছেন এমন কোনো সিদ্ধান্তের খবর তারা জানেন না। একই সঙ্গে এ ধরনের বক্তব্য প্রচারে রীতিমতো বিস্মিত কর্মকর্তারা।
শরণার্থী, ত্রাণ এবং প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্থগিত থাকবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম। শরণার্থীদের আকাঙ্খা মাথায় রেখেই প্রত্যাবাসনের জন্য একটি নতুন নীতিমালার প্রয়োজন। অবশ্য তিনি বলেন, এটি তার ব্যক্তিগত মত। এর সঙ্গে সরকারি সিদ্ধান্তের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই স্থগিতাদেশ বলেও জানায় রয়টার্স।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার রাতে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ ধরনের তথ্য নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার চলতি মাসের ১৫ তারিখে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। রাখাইন পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের বিরোধীতার কারণে সাময়িকভাবে প্রত্যাবাসন স্থগিত করা হলেও নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা আলোচনায় স্থান পায়নি। মিয়ানমার পরিস্থিতি ও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ তৈরি হলেই প্রত্যাবাসন শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন