ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আশুগঞ্জ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্য নিয়ে আসা প্রায় দেড় শতাধিক পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আটকা পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে নৌ বন্দরের সকল কার্যক্রম। বেকার হয়ে পড়েছে বন্দরের প্রায় ৫শ’ শ্রমিক। এছাড়া কার্গো জাহাজ থেকে মালামাল খালাস বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে আমদানি করা ১১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ১৮টি জাহাজ আশুগঞ্জ সার কারখানা ঘাটে আটকা পড়েছে। এছাড়া কারখানা ঘাটে প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। এর ফলে পরিবহন ঠিকাদারের প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গত সোমবার বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর রাতেই শ্রমিকদের এক বৈঠকে নতুন করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা জানান, গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে গত শনিবার বিকালে কার্গো জাহাজ মালিক সমিতির নির্দেশ উপেক্ষা করে জাহাজ চালানোর অভিযোগে আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারে পূর্বাঞ্চলীয় জাহাজ মালিক সমিতির অফিসে এমভি আল মোহাম্মদ জাহাজের মাস্টার মো. কবির মিয়াকে ডেকে এনে মারধর করা হয়েছে। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে একই জাহাজের ড্রাইভার মো. শাহাদত হোসেনও আহত হয়। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির পূবাঞ্চলীয় সমন্বয়ক একেএেম হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, বিনা অপরাধে আমাদের শ্রমিকদের মারধর করে জাহাজ মালিক পক্ষের লোকজন। এর কোনো বিচার না পাওয়ায় আমরা ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি। সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে। পূবাঞ্চলীয় কার্গো মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. নাজমুল হোসাইন হামদু জানান, শ্রমিককে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন