ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা
আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ধামরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। প্রতিটি ইউনয়নে বিএনপির একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলে ও দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল সবাই। এই প্রথম সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিল ধামরাই উপজেলা বিএনপির প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ঘনিয়ে আসলেও স্থানীয় পর্যায়ে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় গত ২ মে অবশেষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একাধিক বৈঠকের পর সমঝোতার আলোর মুখ দেখা যায়। অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মনোনয়ন পেলেন যারা- ১নং চৌহাট ইউনিয়নে এজিএম স¤্রাট। ০২নং আমতা ইউনয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম খান লাভু। ০৩নং বালিয়া ইউনিয়নে খন্দকার শহিদুর ইসলাম শহীদ মাস্টার। ৪নং যাদবপুর ইউনিয়নে জসিম মোল্লা। ৫নং বাইশাকান্দা ইউনিয়নে মোয়াজ্জেম হোসেন। ৬নং কুশুরা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান জামিল হোসেন। ৭নং গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নে মোজাম্মেল হোসেন। ৮নং সানোড়া ইউনিয়নে আলতাফ হোসেন। ৯নং সূতিপাড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রমিজুর রহমান চৌধুরী রুমা। ১০নং সোমভাগ ইউনিয়নে আবুল হোসেন। ১১নং ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সোনাম উদ্দিন। ১২নং ধামরাই সদও ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম। ১৩নং কুল্লা ইউনিয়নে আক্কাস আলী। ১৪নং সূয়াপুর ইউনিয়নে ওবাইদুল্লাহ খান। ১৫নং রোয়াইল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম। ১৬নং নান্নার ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম। বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে থেকে রাজনৈতিক মামলা খেয়ে জেল খেটেছি আবার ফেরারি আসামির মতো পলাতক থেকেছি মাসের পর মাস অথচ আমাদের মনোনয়ন না দিয়ে নতুন মুখ দেখে তাদের মনোনয়ন দেয়া দেয়া হয়েছে। তবে ধামরাইয়ে ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতেই আছে বিএনপির সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান। ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতেই বর্তমান চেয়ারম্যানদের মনোনয়ন দেয়া হলেও শুধুমাত্র বালিয়া ইউনিয়নে অন্য প্রার্থীকে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন