ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও পাখি ভ্যানে তছনছ ট্রাফিক ব্যবস্থা। যে দিকে চোখ যায় শহরের সবখানেই ইজিবাইকের দাপট। কোনোভাবেই এ দুটি যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। নিয়ন্ত্রণহীন এই যানবাহনের কারণে একদিকে যেমন যানজট, অন্য দিকে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও যেন পথচারীদের পিছু ছাড়ছে না। ইজিবাইকের এলইডি লাইটিং ব্যবস্থা পথচারীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার পক্ষ থেকে ইজিবাইক কেনাবেচা বন্ধ করার নির্দেশনা দিলেও শহরের পাঁচটি দোকানে চুরি করে তারা ইজিবাইক বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে পাঁচ-সাতটি করে ইজিবাইক বিক্রি হচ্ছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জেলায় ইজিবাইকের সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। ঝিনাইদহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক কৃষ্ণপদ সরকার জানান, সারা জেলায় অনুমোদিত ইজিবাই আছে দুই হাজার। এ ছাড়া সারা জেলায় এক হাজার রয়েছে লাইসেন্স বিহীন। অন্য দিকে ইজিবাইক বিক্রেতারা জানিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলায় ইজিবাইকের সংখ্যা ১০ হাজার হবে। তারা এ পর্যন্ত এ রকম সংখ্যাই বিক্রি করেছেন। প্রতিটি উপজেলায় ইজিবাইকের শোরুম আছে। প্রতিদিন নতুন নতুন ইজিবাইক রাস্তা দখল করছে। জানা গেছে, এখন শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মানুষের চলাচলের যানবাহন হয়েছে ইজিবাইক। পৌরসভা থেকে লাইসেন্স প্রদান করা হলেও ড্রাইভারদের কোনো লাইন্সে নেই। ফলে অদক্ষ যে কেও একদিনে চালক বনে যাচ্ছে। ইজিবাইকের কারণ শহর থেকে প্যাডেল চালিত রিকশা-ভ্যান উঠে গেছে। রিকশা ও ভ্যানে লাগানো হয়েছে ব্যাটারি। এ দুই যানবাহনের নাম হয়েছে পাখি ভ্যান। পাখির মতো নিয়ন্ত্রণহীন ছুটে চলে এ সব পরিবহন। পথচারীদের অভিযোগ ঝিনাইদহ শহরে যানজটের মূল কারণ হচ্ছে এ সব ব্যাটারিচালিত যানবহন। ঝিনাইদহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক কৃষ্ণপদ সরকার জানান, আমরা যানজট নিরসনের জন্য প্রতি নিয়ত ইজিবাইকের কাগজপত্র চেক করছি। শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশরা চেক করার কারণে পৌরসভাগুলোতে রাজস্ব বেড়ে গেছে। মানবিক কারণ ছাড়া বাইরের ইজিবাইক আমরা শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। তিনি বলেন শহরে ছাড়া তো আর কোথাও এই যানবাহন তেমন একটা চলে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন