খুলনা ব্যুরো
বকুল সরদার ওরফে জিনারুল ইসলাম খুলনার পাইকগাছায় এখন মুর্তিমান আতঙ্ক। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্চিত করা, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করা, আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা মামলায় আসামি হওয়া সত্ত্বেও বকুল সরদার রয়েছে অদৃশ্য খুঁটির জোরে ধরা-ছোয়ার বাইরে। এদিকে খুলনায় রামপাল আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল আলহাজ মাও. মোস্তফা আলম সন্ত্রাসী বকুল সরদারের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে অভিযোগ করেছেন। সূত্রমতে, খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার স্বঘোষিত সন্ত্রাসী বকুল সর্দারের তা-বে এলাকার শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষ অতিষ্ঠ। সন্ত্রাসী বকুল সর্দার অত্যন্ত প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় পাইকগাছা থানার চক কাউয়ালী ও কানুয়ারডাঙ্গা এলাকায় তার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সন্ত্রাসী বকুলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল, পুকুর/ঘের দখল, পুকুরের মাছ ধরে নেয়া মাটি কেটে বিক্রি করা নিতান্তই মামুলি ব্যাপার। তার বিরুদ্ধে খুলনার দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে, যার নং- জি আর ৯০৩/০৫, তাং- ২৭-০৮-০৫। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাইকগাছার চাঁদখালি ইউনিয়নের নির্বাচন পরিদর্শক ম্যাজিস্ট্রেটকে মারার দায়ে সে অভিযুক্ত হয়, যার মামলা নং-২১/০২। এছাড়া তার নামে একটি অস্ত্র মামলাও রয়েছে, যার মামলা নং-১২২। গত ০৭-১০-০৮ তারিখে বকুল সর্দারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একাধিকবার পাইকগাছা থানায় জিডি করেও কোন পুলিশি সহায়তা পায়নি এই বর্ষিয়ান আলেম। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তদন্ত তথ্য থেকে জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে আকস্মিকভাবে বকুল সর্দার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মাও. মোস্তফা আলমের বসতভিটার সংলগ্ন মোট এক একর বিশ শতাংশ জমি ও পুকুর দখল করে নেয় এবং জোরপূর্বক পুকুরের মাছ ধরা, পুকুরের চারপাশের মাটি কেটে বিক্রি করা, গাছ কাটাসহ নানা সন্ত্রাসী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন