শুরু হয়েছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। মুক্তিকামী বাঙালি তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময় এ মাসেই ছিনিয়ে এনেছিল বিজয়। এ মাসকে স্মরণ করে দিতেই অনেকে রাস্তায়, শহরের অলিতে-গলিতে, স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করে সংসার চালান।
গতকাল লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া বাজারে এমনি এক লাল-সবুজের ফেরিওয়ালার দেখা মেলে। নাম তার আলমাছ, বয়স প্রায় ৩০ বছর। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলাতে তার বসবাস। এ মাসের জন্য লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাই তার পরিচয়। বছরের অন্য মাসে তিনি নানা রকম পণ্য ফেরি করে বিক্রি করে থাকেন। শুধু ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত চলে এই লাল-সবুজের পতাকা বিক্রয়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় এই বিজয়, ডিসেম্বর এলেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুরু হয় জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম। নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায়, অলিতে-গলিতে ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বাঁশের সঙ্গে ছোট-বড় পতাকা বেঁধে বিক্রি করছেন আলমাছ। আর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেন অনেকেই।
পতাকা বিক্রেতা আলমাছ ইনকিলাবকে জানান, তিনি বছরের অন্য সময়ে নানা রকম পণ্য ফেরি করে বিক্রি করলেও ডিসেম্বর মাসে ফেরি করে পতাকা বিক্রি করেন। ঢাকা থেকে এই সব রেডিমেট পতাকা কিনে এনে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিক্রয় করে থাকেন। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকার মধ্যে তার কাছে পাওয়া যাচ্ছে পতাকা। তিনি আরো জানান, এটি মৌসুমী ব্যবসা, এতে খেয়েপরে তার তিন ভাগের এক ভাগ লাভ থাকে।
স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে তিনি বেশ আনন্দও পান। এই বিজয়ের মাসে প্রত্যেকের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা দিতে পারলে তার স্বার্থকতা আসবে বলেও তিনি জানান।
পতাকা কিনতে আসা ওয়ালিয়া তরুণ সমাজের উপদেষ্টা ভাষ্কর সরকার একটি পতাকা কেনেন। তিনি বলেন, ‘একটি পতাকাই একটি দেশ ও জাতির পরিচয় বহন করে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন